ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

কিয়ামতের দিন অজুর কারণে বিভিন্ন অঙ্গ উজ্জ্বল দেখাবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
কিয়ামতের দিন অজুর কারণে বিভিন্ন অঙ্গ উজ্জ্বল দেখাবে অজু নামাজের অপরিহার্য বিষয়

ইবাদতের উদ্দেশ্যে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী পবিত্র পানি দ্বারা নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়ার নাম অজু। ঈমানের পরে ইসলামের সমচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। নামাজ আদায় করতে হলে সর্বপ্রথম অজু করতে হয়। অজু ব্যতীত নামাজ শুদ্ধ হয় না। অজু নামাজের চাবিস্বরূপ।

পবিত্র কোরআনে অজু সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধোবে, মাথা মাসেহ করবে ও পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে। ’ -সূরা মায়িদা: ৬

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত।

তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতকে কিয়ামতের দিন অজুর চিহ্নের কারণে ‘শুভ্র-উজ্জল হস্তপদ বিশিষ্ট উম্মত’ উপাধিতে সম্বোধন করা হবে। কাজেই তোমরা যারা সক্ষম হও নিজ নিজ উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে নাও। -সহিহ বোখারি: ১৩৬

অজু নামাজের অপরিহার্য বিষয় বা পূর্ব শর্ত। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, বেহেশতের চাবি হলো নামাজ, আর নামাজের চাবি হলো- অজু। -মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির অজু নেই সে অজু করে না নিলে (ও বিনা অজুতে নামাজ পড়লে) তার নামাজ কবুল হবে না। -সহিহ বোখারি: ১৩৫, সহিহ মুসলিম: ২২৫

যে সব ইবাদতের অজু ফরজ: ১. ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত এবং নফল সব ধরনের নামাজের জন্য অজু করা ফরজ। ২. জানাজার নামাজের জন্যে অজু ফরজ এবং ৩. কোরআন শরিফে অবস্থিত সেজদার আয়াত তেলাওয়াতের ওই সেজদা প্রদানের জন্য অজু করা ফরজ।

যে সব ইবাদতের জন্য অজু ওয়াজিব: ১. হজ বা ওমরার সময় পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফের জন্যে ও ২. পবিত্র  কোরআন স্পর্শ করার জন্যে।
 
যখন অজু সুন্নত: ১. ঘুমানোর পূর্বে এবং ২. গোসলের পূর্বে।

অজু যখন মুস্তাহাব: ১. আজান ও তাকবিরের জন্যে। ২. খুতবা পড়ার সময়। চাই ওই খুতবা জুমার হোক বা বিয়ের। ৩. দ্বীনি তালিম দেওয়ার সময়। ৪. জিকিরের সময়। ৫. ঘুম থেকে ওঠার পর। ৬. মৃত ব্যক্তির গোসল করানোর পর। ৭. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের সময়। ৮. হজ চলাকালে আরাফার ময়দানে অবস্থানের সময়। ৯. হজে সাফা ও মারওয়া সাঈ করার সময়। ১০. নাপাক অবস্থায় খাওয়ার পূর্বে। ১১. হায়েজ-নেফাসের সময়ে প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে। ১২. এ ছাড়া সবসময় অজু অবস্থায় থাকা মুস্তাহাব।  

লেখক: ইমাম ও মুহাদ্দিস‍ 

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।