ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহ্বান আখেরি মোনাজাতে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহ্বান আখেরি মোনাজাতে আখেরি মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা/ছবি: সুমন শেখ

গাজীপুর: মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত-মাগফিরাত-নাজাত প্রার্থনা করে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। প্রথমবারের মতো এবার এ মোনাজাত পরিচালনা করা হলো বাংলায়।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। দীর্ঘ ৩৫ মিনিট বাংলায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ যোবায়ের।

এর আগে বাংলায় হেদায়তি বয়ান করেন বাংলাদেশের আরেক মাওলানা আব্দুল মতিন।

মোনাজাতের প্রথম ১৫ মিনিট কুরআনের আয়াত ও হাদিস পাঠ করেন মাওলানা যোবায়ের। ক্ষমা প্রার্থনা, রহমত প্রার্থনা ও ঐক্যের আয়াত-হাদিসগুলোই বেশি পাঠ করেন তিনি।  

দোয়ায় দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে যখন সারা বিশ্বের মুসল্লিদের সুখকামনা করা হয়েছে। এছাড়া বেকারদের চাকরি, ঋণমুক্তি, অসুস্থ, বিবাহযোগ্যদের বিয়ের জন্য দোয়া, ইজতেমার ব্যবস্থাপনায় সরকারের সহযোগিতার জন্য কল্যাণ কামনা, যারা বিভিন্ন মেয়াদে তাবলিগে যাচ্ছেন তাদের জন্য, শীতার্ত, রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দোয়া করেন। শিক্ষা অর্জনে যারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তাদের সুশিক্ষা অর্জনের জন্য হেদায়েত কামনা করেন মাওলানা যোবায়ের।

মোনাজাতে দেশ ও বিশ্বে যে সমস্ত ভালো কাজ হচ্ছে তা কবুল করে নেওয়ার ফরিয়াদ জানান।

আখেরি মোনাজাতে সার্বিকভাবে ধনী-গরিব, মালিক-শ্রমিক, শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সব বয়সের বিভিন্ন পেশার দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি আল্লাহর দরবারে দু’হাত তোলেন। কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা, আত্মশুদ্ধি, দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত, বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য, শান্তি, দেশ ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় দু’হাত তুলে দোয়া করেন।

মোনাজাতে পথভ্রষ্ট বিশ্ব মুসলমানের সঠিক পথে চলার তৌফিক, তাবলিগ কাজে সব মুসলিমকে নিয়োজিত হওয়া, ইহকাল-পরকালের শান্তি কামনা করে পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুতি-মিনতি করেন। এ সময় লাখ লাখ মুসল্লি দু’হাত তুলে কান্নায় দু’চোঁখ ভেজান।  

সকালে হেদায়তি বয়ানের পর লাখো মুসল্লির প্রতীক্ষার অবসান ঘটে আখেরি মোনাজতের মধ্যদিয়ে। গাজীপুর ও ঢাকাসহ আশপাশের জেলার মুসল্লিরা শরিক হন আখেরি মোনাজাতে। ভোর থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্রেন ও নৌকাযোগে ইজতেমামুখী ঢল নামে মুসল্লিদের। দুর্ভোগ এড়াতে অনেকে রাতেই অবস্থান নেন ইজতেমা এলাকায়।  

ইজতেমা ময়দানে জায়গা না পেয়ে হাজার হাজার মুসল্লি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ফুট ওভার ব্রিজ, বাসা-বাড়ি, কলকারখানা, মার্কেট ও যানবাহনের ছাদ, বিভিন্ন অলি-গলি ও তুরাগ নদে নৌকায় বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।  

আগামী ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ। একইভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ২১ জানুয়ারি (রোববার) শেষ হবে এবারের (২০১৮ সালের) বিশ্ব ইজতেমা।  

টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
আরএস/এসজেএ/এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।