ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন ইজতেমার মাঠে বয়ান শুনছেন মুসল্লিরা (ফাইল ফটো)

টঙ্গীর কহর দরিয়া নদীর তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু করার লক্ষ্যে ইজতেমা ময়দানে পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ শেষ। ইতিমধ্যে মুসল্লিরা আসতেও শুরু করেছেন।

 

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বাদ ফজর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে রোববার (২১ জানুয়ারি) মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের ইজতেমা।  

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় পর্বের পরিষ্কার-পরিছন্নতাসহ সব প্রকার প্রস্তুতির কাজ শেষ। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলিগ জামাতের সাথীরা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এসেছেন বিভিন্ন জেলার সাথীরাও।  

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় রাজধানী ঢাকাসহ ১৭ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। আসবেন ৯০ দেশের আরও প্রায় সাত হাজার মুসল্লি।  

ইজতেমার ময়দানে জেলাওয়ারি মুসল্লিদের স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রথম পর্বের মতো পুরো ময়দান ২৭টি ভাগ করা হয়েছে।  

মাঠ প্রস্তুতির কাজ আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা তদারকি করছেন। বিদ্যুৎ, পানি, প্যান্ডেল তৈরি, গ্যাস সরবরাহ প্রতিটি কাজ আলাদা দলের মাধ্যমে করা হয়েছে।  

বিদেশি মুসল্লিদের থাকার জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম পাশে স্থায়ীভাবে কামরা তৈরি করা হয়েছে। মুসল্লিদের জন্য তুরাগ নদ পারাপারের জন্য নদীর সাতটি স্থানে ভাসমান সেতু স্থাপন করা হয়েছে।  

গাজীপুর সিটি করপোরেশন অতিথিদের স্বাগত জানানোর জন্য ইজতেমার প্রবেশপথগুলোতে ১০টি তোরণ নির্মাণ করেছে। মুসল্লিদের অজু, গোসল, পয়োনিষ্কাশন ও পানের জন্যে ১২টি গভীর নলকূপ প্রতিদিন ঘণ্টায় তিন কোটি ৫৫ লাখ গ্যালন পানি সরবরাহের জন্য প্রস্তুত।  

এ ছাড়া নতুন তিনটিসহ বহুতলীয় পাকা দালানে প্রায় চার হাজার ও ১৫৪টি অস্থায়ী টয়লেট স্থাপনে পাশাপাশি নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত অজু-গোসলখানা এবং টয়লেটগুলো এরই মধ্যে সংস্কার করা হয়েছে।  

ময়দানের চাহিদা মোতাবেক ১০০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হয়েছে। ২৪টি ফগার মেশিনে মশক নিধনের ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৪৫টি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন ২৫টি ট্রাকের মাধ্যমে দিন-রাত বর্জ্য অপরাসণ করা হবে।  

এদিকে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব থেকে ২ হাজার ৭১টি জামাত বিভিন্ন মেয়াদে চিল্লার জন্য বেরিয়েছে। রোববার শেষ হওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে এক চিল্লা (৪০ দিন), তিন চিল্লা ও সালের জন্য এসব জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাবলিগের কাজের জন্য বের হয়।  

বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের অন্যতম শুরা সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ হোসেনের সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ২ হাজার ৭১টি জামাত নাম লেখিয়েছে। ইজতেমার মাঠে অবস্থানরত আরও অনেকে জামাতবন্দি হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

সব মিলিয়ে এবারের ইজতেমা (দুই পর্ব) থেকে হাজার ৫ হাজার জামাত বের হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

প্রথম পর্বের ইজতেমায় ১০২টি দেশ থেকে ১২ হাজার তবলিগের সাথী অংশ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বাদ ফজর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বরাবরের মতো এবারও ইজতেমার দ্বিতীয় দিন যৌতুকবিহীন সুন্নতি বিয়ে পড়ানো হবে। আলেম-উলামা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে থাকবে বিশেষ বয়ান।

প্রথম পর্বের মতো বাংলায় হেদায়েতি বয়ান হবে। রোববার সকাল ১১টার দিকে কাকরাইলের মুরব্বি ও শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা যুবায়ের আহমদের মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।