টোকিও অলিম্পিক আয়োজনে কোনো ফাঁক রাখতে চাইছে না। তাই অলিম্পিক আয়োজনে অংশ নেওয়া মুসলিম অ্যাথলেটস, কর্মকর্তা ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের ব্যবহারের জন্য ভ্রাম্যমাণ মসজিদ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
নির্মিত মসজিদগুলো বড় বড় ট্রাকের ওপর স্থাপন করা হবে। তা যেকোনো সময় স্থানান্তর করা যাবে। এমন মোট ১০টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
ভ্রাম্যমাণ মসজিদ তৈরির ধারণাটি একটি ইভেন্ট সংগঠন কোম্পানির সভাপতি ইয়াসুহরু ইনউইয়ের। ৫৮ বছর বয়সী টোকিওর ওই অধিবাসী ২০০৪ সালের এথেন্সে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে কাজ করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ মসজিদের ধারণা তিনি কাতার থেকে নিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুসলমানদের জন্য নামাজ পড়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এ কারণে আমি এ প্রস্তাব রেখেছি, যাতে মুসলমানদের ইবাদতের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যায়। আর এর মাধ্যমে আমরা মুসলমানদেরকে টোকিওতে স্বাগত জানাতে চাই।
বেশ কয়েকটি নির্মাতা কোম্পানীর সহযোগিতায় ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ওপর গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। এরই মধ্যে মসজিদের ভেতরের ডেকোরেশনের জন্য কাতারের এক ডিজাইনারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আশা করছেন, ভ্রাম্যমাণ প্রথম মসজিদটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধন করা যাবে।
উল্লেখ্য যে, জাপানে মুসলমানের সংখ্যা মাত্র দুই শতাংশ। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রবাসীদের কল্যাণে মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একইভাবে বাড়ছে মসজিদের সংখ্যাও। ১৯৩১ সালে জাপানে প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এমএইউ/