তার ৫৫ বছর বয়সী এই শিল্পী দেশটির ডাকহলিয়া প্রদেশের শহীদ মুস্তাফা ভ্যাটিডি প্রাথমিক স্কুলের আরবি ক্যালিগ্রাফির শিক্ষক।
তিনি হাতে পুরো কোরআন হাতে লেখার পরিকল্পনা করলে তার বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকরা তাকে সতর্ক করেন।
ক্যালিওগ্রাফার হিসেবে তিনি বেশ পরিচিত। বিভিন্নভাবে পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখার জন্য হামদি বাহরাভি তার এলাকায় অনেক প্রসিদ্ধ।
মাত্র ১৪০ দিনে কোরআন হাতে লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেই আমাকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ়প্রত্যয়ী থেকে পবিত্র কোরআন হাতে লেখার কাজ অব্যাহত রাখি এবং সফল হই। এ কাজে আমার পরিবারের সদস্যরা ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
তার হাতে লেখা কোরআনের কপিটি ৩০ সেন্টিমিটার প্রস্থ এবং ৪০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪১৫টি। এটা তিনি মিলিমিটার কলম দিয়ে লিখেছেন। পুরো কাজটি লিখতে তার ব্যয় হয়েছে মিসরীয় ১২৫ পাউন্ড।
তার লিখিত কোরআনের পাণ্ডুলিপিটি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে করে নির্ভুল বলে ঘোষণা করেছে।
বর্তমানে এই শিল্পী পবিত্র কোরআনের একটি বড় পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ২ হাজার ৭শ’ মিসরীয় পাউন্ড ব্যয় করে ৭ মাসে ১২ পারা লিখে শেষ করেছেন।
তার ইচ্ছা, এই পাণ্ডুলিপির কাজ শেষ হলে এটিও পর্যবেক্ষণের জন্য আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাবেন এবং সেখান থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পর তা মিসরে জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে উপহার দেবেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এমএইউ/