তিনি বলেন, এ কারণে বিমানের ক্যাপাসিটি লস হচ্ছে। দেশ থেকে অতিরিক্ত টাকা জরিমানা দিয়ে সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার (১৮ জুলাই) হজক্যাম্পে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে বিমানের এমডির পদত্যাগ দাবি করেন।
প্রতিটি ফ্লাইটে ৪১৯ জনের স্থলে ৩১৯ করায় টিকিটও সেভাবে বিক্রি হয়েছে। এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালন করতে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার।
এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি হজ এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালন করছে। যাত্রীদের বহনের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইন্স ১৮৮টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
আল নাসের বলেন, বিমানের ৪১৯ আসনের স্থলে ৩১৯ ধরে টিকিট বিক্রি করায় প্রতি ফ্লাইটে ১০০ জনের টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। জরিমানা দিয়ে যাত্রী পাঠানো হচ্ছে। এতে বিপুল অঙ্কের টাকা দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার, বিমানের সামর্থ্য কমছে। আমরা চাই এর সঠিক তদন্ত হোক এবং এ ঘটনার জন্য বিমানের এমডি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন।
‘এখন সৌদি আরবে কোনো ধরনের সংকট নেই। সেখানে ক্যাটারিং ও মোয়াল্লিম ফি’র কারণে কিছুটা সমস্যা ছিল, সেটার সমাধান শেষ পর্যায়ে। ’
বিমানের নিবন্ধনের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এটা হায়ার অথোরিটি বলতে পারবে। তবে আমাদের এখান থেকে প্রতিদিন হজযাত্রীদের ঠিকমতো পাঠানো হচ্ছে। কেনো ফ্লাইটের শিডিউল সমস্যা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
ইএআর/এএ