তাদের গাইড বিভিন্ন সময় নানা কথা বলে হজযাত্রীদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। তবে হজে যাওয়া অনিশ্চিত ভেবে উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেছে এ হজযাত্রীদের।
সামিরুল হক নামে এক হজযাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, এখনও জানি না আজ আমাদের ফ্লাইট হবে কি-না। পৌনে ২টা বাজে, এখনও ভিসা ও টিকিট হাতে পাইনি। গাইড আমাদের নানা কথা বলছেন। খাদেজা বেগম নামে আরেক হজযাত্রী বলেন, আমরা টিকিট ও ভিসা ছাড়া হজক্যাম্প ছাড়বো না। আমাদের আজ সৌদি আরবে যাওয়া কথা থাকলেও এজেন্সির কোনো প্রতিনিধি আসেনি।
কোনো এজেন্সি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিসমিল্লাহ ট্রাভেলস। যদিও তাদের সঙ্গে থাকা গাইড শাহাদাত হোসেন বলেন দিগন্ত ট্রাভেলস।
শাহাদাত বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দিগন্ত ট্রাভেলস থেকে ১২ জনের টিকিট কনফার্ম করেছি। আমাদের এজেন্সির প্রতিনিধিরা ভিসা ও টিকিট নিয়ে বিমানবন্দরে আছেন।
এই শেষ সময়ে কেনো ভিসা হবে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান তিনি।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালন করতে সৌদি যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
যাত্রীবহনের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা হয় বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮৭টি ফ্লাইট ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৮৮টি ফ্লাইট ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ জুলাই ২৭, ২০১৮
ইএআর/এএটি