এ বিষয়ে ভুক্তভোগী টঙ্গীর (পুবাইল) শুক্কুর আলী বলেন, হজে নেওয়ার কথা বলে ২০১৫ সালে আশকোনা হজক্যাম্পের ইমাম আমার কাছ থেকে ৩ লাখ ৯ হাজার টাকা নেন। ২০১৬ সালে আমার ভিসা আসলেও তিনি হজে নিতে পারেননি।
একই এলাকার অপর ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির বলেন, হজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আশকোনা মসজিদের ইমাম আমাদের ২০ জনের কাছ থেকে টাকা নেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত হজে নিতে পারেননি। এখন আরও টাকা দাবি করছেন তিনি। এখন আমাদের হজে নিতে হবে, না হলে আমাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরকে হজযাত্রী জোগাড় করে দেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। হজক্যাম্পে রফিকুলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি দ্রুতগতিতে হজক্যাম্প ছেড়ে চলে যান।
তবে আশকোনা মসজিদের ইমাম জাহাঙ্গীর বলেন, তারা হজে যেতে পারবে। এজেন্সি নতুন করে টাকা চেয়েছে তাই তাদের কাছ খেকে আমি টাকা চেয়েছি। গত বছর তাদের ভিসা হয়েছিলো কোনো সমস্যার কারণে তারা বাদ পড়েছে। এবার তাদের কাজ চলছে।
কিভাবে তিনি এজেন্সির কেউ না হয়েও হজে পাঠাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা নিয়েছে মিনার নামে এক এজেন্সি। তারা আমাদের সময় দিচ্ছে। তবে আমরা সবাই মিলে এটার সমাধান করার চেষ্টা করছি।
তবে মিনার এজেন্সির ম্যানেজার সোলাইমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি এজেন্সি ছাড়া কোনো ব্যক্তির কাছে কেউ টাকা দেবেন না। কোনো ব্যক্তির কাছে টাকা দিলে এর দায় আমাদের না। তবে কোনো এজেন্সি প্রতারণা করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৮
ইএআর/আরআর