কারণ হিসেবে বিমান বলছে, হজ শুরুর ৫০ দিন আগেই বিমানের হজ টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও এজেন্সিগুলো সময়মতো টিকিট সংগ্রহ করছে না। বিমানের এখনও প্রায় ৫ হাজার টিকিট অবিক্রিত রয়েছে।
অন্যদিকে ১৫ আগস্টের পর আর কোনো স্লট দেবে না সৌদি আরব। যে ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে এর মধ্যে এখন তারা ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি সৌদি দূতাবাস থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার ১৮৬ জনের ভিসা পাওয়া গেছে। এখনও বাকি আছে ১১ হাজার ৬১২ জনের। সৌদি দূতাবাস আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, তারা ৭ আগস্টের পর আর কোনো ভিসা দেবে না।
হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ২৪৩টি ফ্লাইটে মোট ৮২ হাজার ৭৩২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইনসের ১২৫টি ফ্লাইটে ৩৯ হাজার ৫৬৩ জন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৩ হাজার ১৬৯ জন যাত্রী গেছেন।
রোববার (৫ আগস্ট) এ দুই এয়ারলাইনসের মোট ১১টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইনসের ৫টি ও বিমাস বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৬টি ফ্লাইট। ইতোমধ্যে ৬টি ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদির জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
এর আগে যাত্রী না পাওয়ায় শনিবার (৪ আগস্ট) পর্যন্ত মোট তিনটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এগুলো হলো বিজি-১০৬৭, বিজি৫০৬৫ ও বিজি৫০৬৭। একই অজুহাতে শুক্রবার (৩ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিনটি হজফ্লাইট বিজি-৫০৬৩, বিজি-১০৬৩ ও বিজি-৭০৬৩ বাতিল করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দু’টি হজফ্লাইট বিজি-১০৬৩ ও বিজি-৫০৬১ বাতিল করা হয়। বুধবার (১ আগস্ট) দু’টি হজ ফ্লাইট বিজি-৩০৫৯ ও অপরটি বিজি-৫০৫৯ বাতিল করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২৭ জুলাই) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলান্সের দু’টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এগুলো হলো- বিজি-১০৪৫ এবং বিজি-৭০৪৫ ফ্লাইট। আর হজফ্লাইট শুরুর দিকে আরও একটি বাতিল করা হয়।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়িভাড়া ও ভিসার আগেই টিকিট কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক এজেন্সি নির্ধারিত টিকিট কেনেনি। এ কারণে পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে ১৩টি ডেটিকেটেড হজফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্লাইট বাতিলের কারণে এ পর্যন্ত বিমানের ক্যাপাসিটি লস হয়েছে ৫ হাজার ২০০ যাত্রীর।
তিনি বলেন, যেসব যাত্রী বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ছিলেন তাদের পছন্দমতো পরবর্তী যেকোনো ফ্লাইটে যুক্ত করা হবে। তবে শঙ্কার বিষয় হলো নির্দিষ্ট স্লটের বাইরে আর কোনো স্লট দেবে না সৌদি সরকার। তাই সব এজেন্সিকে টিকিট নিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিনই ৫২৮ এজেন্সিকে ই-মেইলের মাধ্যমে কোন ফ্লাইটে কত সিট খালি আছে সে বিষয়ে আপডেট জানাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান। দ্রুত টিকিট কেনার তাগিদ দেওয়া হলেও মুনাফালোভী বেশ কয়েকটি হজ এজেন্সি এখনও সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করেনি।
হজক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত সৌদি দূতাবাস থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৮৬ জনের ভিসা পাওয়া গেছে। আজ ভিসার জন্য হজ অফিসে কাগজ জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামী ৭ আগস্টের পর যেহেতু দূতাবান ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেবে, তাই আশা করছি আজ সব এজেন্সি তাদের নির্দিষ্ট ভিসা সংগ্রহ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৮
ইএআর/এএ