হজরত সোলাইমান ইয়েমেনের সাবা নগরীর রানি বিলকিসের কাছে চিঠি পাঠান। চিঠিটি বয়ে নিয়ে যায় হুদহুদ নামের একটি পাখি।
তার চিঠি পেয়ে রানি বিলকিস বিস্মিত হয়েছিলেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (রানি) বলল, হে প্রধান ব্যক্তিরা! আমার সামনে একটি সম্মানিত পত্র পেশ করা হয়েছে। এটি সোলাইমানের পক্ষ থেকে এবং এটি করুণাময় ও দয়াবান আল্লাহর নামে। ’ (সুরা নামাল, আয়াত নং : ২৯-৩০)
উল্লেখ্য, সোলাইমান (আ.)-এর পর রাসুল (সা.) ছাড়া আর কোনো নবীকেই বিসমিল্লাহর বিধান দেওয়া হয়নি। প্রাথমিক যুগে রাসুল (সা.) ‘বিসমিকাল্লাহুম্মা’ লিখতেন। তারপর সুরা হুদের ৪১তম আয়াতে ‘বিসমিল্লাহি মাজরেহা’ নাজিল হলে তিনি শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ লিখতে শুরু করেন। এরপর সুরা বনি ইসরাইলের ১০ নম্বর আয়াতে ‘কুলিদ্য়ুল্লাহা আওয়িদ্উর রাহমান’ অবতীর্ণ হলে তিনি ‘বিসমিল্লাহির রহমান’ লিখতে শুরু করেন।
এরপর সুরা নামলের ৩০তম আয়াতে পুরো বিসমিল্লাহ নাজিল হলে মহানবী পুরো ‘বিসমিল্লাহ’ লেখার রীতি প্রচলন করেন। (রুহুল মাআনি ও আহকামুল কোরআন লিল-জাস্সাস)
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এমএমইউ/এমজেএফ