নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান সারাহ ডানকান জানিয়েছে, বৃহৎ-বিস্তৃত পরিসরে এমন মর্যাদাপূর্ণ এবং অত্যাধুনিক কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত। চলতি বছরের নভেম্বরে মসজিদটি উদ্বোধন করা যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উন্নয়ন চুক্তির খসড়া, চুক্তিপত্র, ওয়ারেন্টি এবং নিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্যের ডানকন সিএমটি ডিজাইন ও বিল্ড লিমিটেড কোম্পানি সহায়তা করেছে। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে ক্যামব্রিজের মিল রোডে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণক্ষেত্রে বিখ্যাত অ্যাশটন লিগ্যাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ নেয়া হয়েছে।
অ্যাশটন ও অ্যাশটনের বাণিজ্যিক অংশীদার চার্লস ওয়েবব (যারা বর্তমান মালিক) নির্মাণ কাজ পূর্ণাঙ্গভাবে সমাপ্ত হলে মুসলিম একাডেমি ট্রাস্ট এবং পরবর্তী সময়ে ক্যামব্রিজ মসজিদ ট্রাস্টের জন্য বরাদ্দ করে দিবে।
এ বিষয়ে ক্যামব্রিজ মসজিদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান টিম উইন্টার বলেন, এটা অনেকগুলো ঠিকাদার এবং অংশীদার গ্রুপের সঙ্গে জড়িত একটি জটিল বহুজাতিক প্রকল্প। তবে আমরা আনন্দিত হয়েছি যে, প্রত্যেকে আমাদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
মসজিদ প্রকল্পটি সবুজাবৃত ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকল্পের কাঠামো এবং প্রক্রিয়ার প্রয়োগ, পরিকল্পনার নকশা, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কারসহ সবকিছুতে প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি পূর্ণাঙ্গ যত্ন ও গুরুত্ব রেখে যাবতীয় কাজ করা হয়েছে। ক্যামব্রিজে ইকো-মসজিদ নির্মাণের অন্যতম কারণ হচ্ছে মানবস্বাস্থ্য, প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর নির্মাণশিল্পের বৈরী প্রভাব কমানো। তবে ক্যামব্রিজের বর্তমান মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের সংকুলান না হওয়াও অন্যতম আরেকটি কারণ।
মসজিদটিতে একসঙ্গে ১ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা নামাজের জায়গার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া মসজিদের ভূগর্বে বিশাল গাড়ি পার্কিং রয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ-কমপ্লেক্সে শিশুদের কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রও নির্মাণ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে যে সব ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর সমন্বয়ে তৈরি একটি বাগান মসজিদ-কমপ্লেক্সের ভেতর থাকবে। মসজিদটি সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএমইউ/এসএইচ