কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। কারণ, সেদিন তাদের নিজ নিজ কৃতকর্ম দেখানো হবে।
হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, “হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। ’ (বুখারি : ৬৪০৬)
(সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি) অর্থাৎ মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। (সুবহানাল্লাহিল আজিম) অর্থাৎ মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। ” (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪)
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত নফল ইবাদত করা অনেকের সম্ভব হয় না। কিন্তু যেকোন জায়গায়, যেকোন মুহূর্তে আল্লাহর প্রশংসায় তার জিকির করা অনেক সহজ। কোনো সময়ক্ষেপণ হয় না, কাজে ব্যাঘাতও সৃষ্টি করে না। এ ক্ষেত্রে উপরোক্ত বাক্য দুটি অন্তত নিয়মিত পড়তে পারি। এতে আমাদের অজ্ঞাতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এমএমইউ/এমজেএফ