এক্ষেত্রে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে নামাজে মনোযোগ স্থির করার বা বাড়ানোর পদ্ধতি কী?
নামাজে একাগ্রতা, মনোযোগ, গভীর মনোনিবেশ ও ঐকান্তিকতা তৈরির কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো। সে অনুযায়ী, অনুশীলন করলে আশা করা যায়, নামাজে অমনোযোগিতা আর থাকবে না।
শেষ নামাজ মনে করা
নামাজে দাঁড়ানোর সময় আপনি যদি চিন্তা করেন, এটিই আমার শেষ নামাজ। আর কখনো আমি আল্লাহর সামনে নামাজের জন্য দাঁড়ানোর সুযোগ পাবো না। কখনো আল্লাহর কাছে গুনাহের ক্ষমা চাইতে পারবো না। তাহলে এই নামাজ খুবই প্রাণবন্ত হবে। হৃদয় দিয়ে নামাজের স্বাদ অনুভব করা যাবে।
প্রতিটি আমল ধীরস্থিরভাবে আদায়
নামাজের সবগুলো আমল ধীরে-সুস্থে ও স্থিরতার সঙ্গে আদায় করলে, নামাজের মনোযোগ স্থির থাকে। একাগ্রতার সঙ্গে রুকু, আত্মসমর্পিত হয়ে সিজদা, দুই সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসা ইত্যাদি নামাজের প্রাণ সৃষ্টি করে। তাই যতদূর সম্ভব ধীরে-সুস্থে ও শান্ত-শিষ্টভাবে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করুন। দেখবেন, নামাজে মনোযোগ বাড়ছে।
প্রতিটি আমলে সতর্কতা
নামাজ শুরু করলে পরিপূর্ণভাবে সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি। প্রতিটি আমল গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করা উচিত, কোনটি কী কারণে এবং কোন উদ্দেশ্যে মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহর সম্মুখে আপনি দাঁড়িয়েছেন।
সম্ভব হলে নামাজের মধ্যে এমন পূর্ণাঙ্গ অনুভব ও ধ্যান রাখুন, আপনি যেনো মহাল আল্লাহকে দেখছেন, তার সামনে নতজানু হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ রূপ চিন্তা বা অনুভব করতে না পারলে অন্তত এতটুকু ভাবুন যে, তিনি আপনার প্রতিটি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। তার কাছে আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। (ইবাদতে এমন ভাব আনার কথা হাদিসে উল্লেখ হয়েছে। )
জেনে বুঝে পড়ার চেষ্টা করা
নামাজরত অবস্থায় যা কিছু পড়া হয়, সেগুলোর অর্থ শিখে নেওয়ার চেষ্টা করা। পঠিত আয়াত ও তাসবিদগুলোর (কেরাত) অর্থ জানলে এবং অর্থের প্রতি খেয়াল রাখলেও নামাজে মনোযোগ বাড়ে। স্থিরতা ও একাগ্রতা সৃষ্টি হয়। ফলে এ রূপ করতে পারলে নামাজে স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক অন্তরঙ্গ ও সুনিবিড় হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের একাগ্রতা, মনোযোগ ও ঐকান্তিকতার সঙ্গে নামাজ আদায়ের সুযোগ দান করুন, আমিন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএমইউ/এমএ