বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ও অনিন্দ্যসুন্দর পাঁচটি মসজিদের ছাদের কারুকার্যের (Ceiling) মনোরম চিত্র উপস্থাপন করা হল।
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত
আবুধাবির বিখ্যাত ও সুবিশাল শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদটি ২০১১ সালে উদ্বোধন করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীতে অবস্থিত মসজিদটি দেশটির প্রধান মসজিদ হিসেবে বিবেচিত হয়। আমিরাতে আগত পর্যটকদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
আল-সুলতান বারকুক মসজিদ, কায়রো, মিসর
আল-সুলতান বারকুক মসজিদটি ‘আল-সুলতান কালাউন মসজিদ’ নামেও পরিচিত। তবে প্রথম নামটিই সঠিক ও যথাযোগ্য। ১৩৮৬ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। মসজিদটির নকশা করেন শিহাবউদ্দিন আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আল-তুলুনি।
মসজিদটি বাহরি মামলুক স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন। কায়রোর আল-মুইজ লি-দ্বীনিল্লাহ সড়কে এটির অবস্থিত। মসজিদের চৌহদ্দিতে একটি খানকাহ ও মাদরাসাও রয়েছে। প্রথম বাহরি মামলুক সুলতানি আল-বারকুক এ মসজিদ নির্মাণ করেন।
সেলিমিয়া মসজিদ, এদির্নে, তুরস্ক
বিখ্যাত নকশাকার ও চিত্রশিল্পী সিনান পাশার নকশা ও তত্ত্বাবধানে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণশৈলীতে ইসলামি ও বাইজেন্টাইন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। মসজিদটির নির্মাণকাজ ১৫৬৯ সালে শুরু করা হয়। দীর্ঘ ছয় বছর নির্মাণকাজ চলার পর ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ওসমানি সুলতান দ্বিতীয় সেলিমের নির্দেশে তৎকালীন তুরস্কের দ্বিতীয় রাজধানী এদির্নেতে মসজিদটি নির্মিত হয়। এ মসজিদ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত।
ওয়াজির খান মসজিদ, লাহোর, পাকিস্তান
পাঞ্জাবের মুঘল সুবেদার ওয়াজির খান মসজিদটি নির্মাণ করেন। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে ১৬৪২ সালে সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
মসজিদটির নির্মাণকাজ ১৬৩৪ সালে শুরু হয় এবং সাত বছরে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। লাহোরের অবস্থিত ইন্দো-ইসলামি ধারায় নির্মিত মসজিদটি সুবেদার ওয়াজির খানের নামে নামকরণ করা হয়।
জলিল খাইয়াত মসজিদ, আরবিল, ইরাক
ইরাকের স্বায়ত্বশাসিত কুর্দিস্তানের আরবিলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। আরবিলের ধনাঢ্য ও বিত্তশালী জনাব জলিল খাইয়াতের মসজিদটির নির্মাণসংক্রান্ত যাবতীয় তত্ত্বাবধান করেন।
২০০৭ সালে মসজিদটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। মিশরের কায়রোর মুহাম্মদ আলি মসজিদ ও ইস্তানবুলের ব্লু মসজিদের অনুকরণে এটি নির্মাণ করা হয়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
এমএমইউ/এমজেএফ