পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ (১২-১৭ রবিউল আউয়াল) উপলক্ষে বুধবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.): রহমত, শান্তি ও বন্ধুত্বের নবী’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠান ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেন।
ঢাকায় অবস্থিত ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয় রাজধানীর ধানমন্ডিতে ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.এন.এম মেশকাত উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইরান দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যাটাশে মাহদী তোরাবী মেহরাবানী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ মাহদী হোসেইনী ফায়েক। আলোচনা করেন ঢাকার নূর-এ মদীনা মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ মুখতার রেযা মাসুমী ও ইসলামি গবেষক আবদুল কুদ্দুস বাদশা।
বক্তারা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উত্তম চরিত্র ও সমস্ত সৃষ্টিকূলের জন্য রহমতস্বরূপ হওয়ায় তিনি সর্বকালের সমস্ত মানুষের জন্য আদর্শ। সর্বোত্তম ও সবচেয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে মানবতার জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি দয়ালু, আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল ছিলেন। তার মহিমা ও মহানুভবতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, মহান আল্লাহ তাকে মহৎ গুণ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
তারা আরও বলেন, রাসুলের জীবনীর প্রতি দৃষ্টি দিলে এই বাস্তবতাই স্পষ্ট হয় যে, ইসলামের পথে মানুষকে আহ্বান এবং শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামের বিস্তৃতি ও গোমরাহী থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়াই ছিল রাসূলের প্রধান কাজ। সুতরাং বর্তমান সময়ে বিশ্বশান্তির বিষয়টি যখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে, তখন মহানবীর (সা.) বার্তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে দলীয়ভাবে নাত-এ-রাসূল পরিবেশন করেন আল মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখার শিক্ষার্থীরা। একক কণ্ঠে নাত পরিবেশন করেন শিল্পী শাহ নওয়াজ তাবীব, মেহেদী হাসান ও আলী মোহাম্মদ মেহেদী হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/