মূলত ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া স্পষ্ট হারাম। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহণকারী উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন।
হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েজ নয়। এভাবে চাকরি নিলে ঘুষ দেওয়ার কারণে কবিরা গুনাহ হয়, আবার ঘুষ গ্রহণের কারণেও বড় গোনাহে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে ঘুষদাতা কর্মের অযোগ্য হলে অন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর অধিকার নষ্ট করার গুনাহও হয়।
তবে কেউ যদি বাস্তবেই চাকরির যোগ্য হয় এবং (ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্ত্বেও) ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়। আর পরে সে যদি যথাযোগ্য দক্ষতা ও নিপুণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া অবৈধ ও গোনাহ হলেও বেতন হালাল হবে। কিন্তু ঘুষদাতা যদি কর্মক্ষেত্রে অযোগ্য হয় এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য ওই চাকরিতে থাকা বৈধ হবে না। আর ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেওয়াও বৈধ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৩৩৭)
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএমইউ/