উত্তর: ঋতুবতী নারীদের জন্য কোরআনে কারিমের কোনো অংশই তেলাওয়াত করার অবকাশ নেই। নিজে যেমন তেলাওয়াত করতে পারবে না, অন্যকেও শিক্ষা দিতে পারবে না।
তাছাড়া তিরমিজি শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঋতুবতী নারী ও নেফাসগ্রস্ত (সন্তান জন্ম পরবর্তী সময়ে) নারী কোরআনের কোনো অংশই পড়বে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১৩১)
তবে কোনো নারী যদি পড়াতে বাধ্য হয়, তাহলে একান্ত প্রয়োজনে তেলাওয়াতের নিয়ত ছাড়া এক-দুই শব্দ করে বলে দেওয়ার অবকাশ রয়েছে।
হানাফি ফিকহের প্রসিদ্ধ ফাতাওয়াগ্রন্থ ফাতাওয়া হিন্দয়াতে রয়েছে, ‘ঋতুবতী নারী, নেফাসগ্রস্ত নারী ও যাদের ওপর গোসল ফরজ হয়েছে তারা কোরআনের কোনো অংশ, আয়াত বা তার আয়াতের খণ্ডিত অংশও তেলাওয়াত করতে পারবে না। তবে যদি আয়াতের খণ্ডিত অংশের মাধ্যমে তেলাওয়াত উদ্দেশ্য না হয় যেমন, শুকরিয়া আদায়ের জন্য আলহামদুলিল্লাহ বলা, কিংবা খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা ইত্যাদিতে কোনো অসুবিধা নেই। ’ (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব, সহকারী মুফতি, জামিয়া রহমানিয়া সওতুল হেরা, টঙ্গী, গাজীপুর। সম্পাদক, আরবি ম্যাগাজিন মাসিক ‘আলহেরা’।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে ও প্রশ্ন করতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএমইউ