প্রতি বছর যেসব মানুষ হজ ও ওমরাহ পালনে যান, তারা স্বাভাবিকতই মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে হাজির হন। অনেক সময় তারা মসজিদে যাওয়ার সময় বিভিন্ন জিনিসপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যান।
আরো পড়ুন: মসজিদুল হারামের জন্য ৩৫ হাজার কার্পেট
লকারব্যবস্থায় ১৫৫ জন্য কর্মী
মসজিদুল হারামের প্রাঙ্গন পর্যবেক্ষণ বিভাগের পরিচালক প্রফেসর জাকি বিন ঘালি আল-হুজালি বলেন, প্রাঙ্গন দেখভালের বিষয়টি মসজিদুল হারামের প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এতে চার শিফটে ১৫৫ জন কর্মী দায়িত্ব পালন করেন। তারা সব ধরনের বিষয়াদি লক্ষ্য রাখেন। সেখানে কেনাকাটা, ভিক্ষাবৃত্তি, চুল কাটা, অনুমতি ছাড়া ভাড়াটে হুইলচেয়ার ব্যবহার ছাড়াও আরো অন্যান্য বিষয়াদি তৈরি হচ্ছে কিনা সেদিকে তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। নেতিবাচক কোনো কিছু নজরে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন।
সাত স্থানে ২১শ’ লকার
মসজিদুল হারামের সাতটি স্থানে লকারগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এগুলোর নিরাপত্তা ও নজরদারি দিতে ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে। সাত স্থানের প্রত্যেকটিতে আটটি করে মেশিন রয়েছে। প্রতিটি মেশিনে ২৮ থেকে ৩৪টি লকার রয়েছে। সেগুলোতে ২৬০ থেকে ৩০০টি করে বক্স রয়েছে। প্রতিটি মেশিনের কাছে দুইজন নিরাপত্তা রক্ষী ও সুপারভাইজার রয়েছে।
বক্সগুলোতে মুসল্লিদের জিনিসপত্র তিনটি শিফটে যত্নের সঙ্গে রক্ষাণাবেক্ষন করা হয়। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সবগুলোর যথাযথ দেখাশোনা করা হয়।
নথি সংরক্ষণে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা
মসজিদুল হারামের আঙিনায় অবস্থিত লকারের সাতটি নির্দিষ্ট স্থানে মুসল্লিদের জিনিসপত্র হেফাজতের জন্য স্বয়ংক্রিয় নথিভুক্তের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে মুসল্লি নিজেই জিনিসপত্র লকারে রাখার আগে নথিভুক্ত করতে পারেন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকাশিত নম্বর গ্রহণ করেন এবং নম্বরটি দেখিয়ে নথিভুক্ত জিনিসপত্র ফেরত নিয়ে যান।
নিরাপত্তাব্যবস্থা
ওমরাহ ও হজ পালনার্থীর কিংবা মুসল্লির লাগেজ দীর্ঘদিন থেকে গেলে, বাক্সটি পাঁচ দিন পর নীল রঙের সংকেত দেয়। এতে ইঙ্গিত করা হয় যে, বাক্সটি বন্ধ করার পর থেকে আর খোলা হয়নি। তখন সেখানকার নির্ধারিত বিশেষ কমিটি আসবাবসামগ্রীগুলো সরিয়ে নির্দিষ্ট অন্য বক্সে রাখেন এবং মালিক ফিরে আসা পর্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে রক্ষা করেন।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এমএমইউ