সোমবার (০৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টায় শিক্ষাবিদ, গবেষক ও খ্যাতিমান মুসলিম ব্যক্তিত্ব মাওলানা ড. জসিম উদ্দীন নদভী মক্কার কিং ফয়সাল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। স্ত্রী ও মাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওমরাহ পালনে গিয়েছিলেন।
ডায়াবেটিস, জ্বর, কাশি হওয়ার কারণে তিনি কিং ফয়সাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর আগে তার একবার হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল।
ড. জসিম উদ্দীন নদভী কক্সবাজার জেলার মহেশখালী মাতারবাড়ীতে ১৯৬৮ সালের ৯ মে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি চট্টগ্রামের পটিয়ার আল-জামেয়া ইসলামিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন।
এরপর ভারতের নদওয়াতুল উলামা থেকে আলমিয়্যাতে কৃতিত্বের সঙ্গে ‘নদভী’ উপাধি লাভ করেন। মদিনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে (১৯৯৬ সালে) ‘কুল্লিয়াতুশ শরিয়া’তে অনার্স সম্পন্ন করেন। মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছুদিন পড়াশোনা ও অধ্যয়ন করেন।
কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুরআনিক সায়েন্স বিভাগ থেকে তিনি ২০০৮ সালে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৭ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার পিএইচডির বিষয় ছিল ‘একবিংশ শতাব্দীতে ইসলামী দাওয়াতের পন্থা ও মাধ্যম’।
বাংলাদেশের বরেণ্য আলেমদের মাঝে তিনি একজন উদ্যমী ও স্বাপ্নিক মানুষ ছিলেন। আরবি ভাষা ও ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
তার মতো খ্যাতিমান ও চিন্তাশীল আলেমকে হারিয়ে মুসলিম উম্মাহ একজন নিষ্ঠাবান ও কর্মোচ্ছল ব্যক্তিকে হারালো। মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমার চাদরে আবৃত করুন। তার ওপর করুণার ফল্গুধারা বর্ষণ করুন। জান্নাতুল ফেরদাউস হোক তার চিরস্থায়ী নিবাস। তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের মহান আল্লাহ ধৈর্য্য ধারণের তাওফিক দান করুন।
তিনি দেশবরেণ্য আরবি সাহিত্যিক, জামেয়া দারুল মাআরিফ আল-ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শায়খুল হাদিস এবং আধ্যাত্মিক পুরোধা আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভীর জামাতা। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এমএমইউ