শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্জে যাবেন।
প্রচলিত রীতি অনুসারে বাংলাদেশ বিমানের হজযাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও সৌদি এয়ার লাইন্সের যাত্রীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। আসন্ন হজে একই নিয়মে তারা আসকোনা ক্যাম্পে ও শাহজালাল বিমান বন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন। এরপর উভয় বিমানের হজযাত্রীদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি এক্সুসিভ জোনে নিয়ে যাওয়া হবে। সৌদি আরবের জেদ্দায় তাদের যে ইমিগ্রেশন হতো, সেই কাজটি এই এক্সক্লুসিভ জোনে সম্পন্ন করা হবে। এক্সক্লুসিভ জোনের সব কার্যক্রম সৌদি আরবের টেকনিক্যাল প্রতিনিধি দলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমান বন্দরে ৬-৭ ঘন্টা অপেক্ষা করার বিড়ম্বনা দূর হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন করতে হজ ভিসার জন্য দুতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই দেশের আট বিভাগে প্রত্যেক হজযাত্রীর দশ আঙ্গুলের হাতের ছাপ সংগ্রহ করা হবে। একই সঙ্গে ছবি তোলা ও পাসপোর্ট স্ক্যান করা হবে। আট বিভাগের প্রতিটি জেলা সদরের ডিসি অফিসে সৌদি আরবের টেকনিক্যাল প্রতিনিধি দলের তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর ফলে শাহজালালে সৌদি কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সহজ হবে।
তিনি আরও জানান সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছেন। সফররত সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আমরা উভয় পক্ষই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছি। এছাড়া সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়ে যে সমস্যা হতো, সেটা এবার আর হবে না। ইতোমধ্যেই আমরা ভালো বাড়ি ভাড়া পেয়েছি। সেখানে ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত থেকে এই কর্যক্রম পরিচালনা করছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের আগের মনোভাব এবারের মনোভাব এক না। এবার আমরা যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছি তারা মেনে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপ্তির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী রোজার মাসের মাঝামাঝিতে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে, কবে থেকে হজযাত্রীদের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এসকে/এমএমইউ