ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

আতর-টুপি বিক্রি বাড়লেও সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৯
আতর-টুপি বিক্রি বাড়লেও সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা তাসবিহ হাতে নিয়ে দেখছেন এক ক্রেতা, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

সোমবার (৬ মে) রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন মুসলিমরা। যদিও সৌদি আরবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রোববার রাতে সেহরি খেয়ে সোমবার থেকে রোজা রাখছেন দেশের অনেকস্থানের মুসলিমরা।

তাই রমজানের আগের দিন (সোমবার) রাজধানীর পল্টনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে এবাদতের অন্যতম অনুষঙ্গ আতর, টুপি, তাসবিহ ও জায়নামাজ বিক্রি বেড়েছে।

তবে বিক্রি বাড়লেও সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, বিক্রি না বাড়লেও গণমাধ্যমে বলা হয়, বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু সরজমিনে দেখা যায়, আতর ও টুপির দোকানে ভীড় করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

তবে কিছু ব্যবসায়ী দ্বিমত পোষণ করে বলছেন, এক শ্রেণির লোক আছে, যারা বিক্রি ভালো হলেও কখনো বলে না, বিক্রি বেড়েছে।

আতর, টুপি ও তাসবিহ ব্যবসায়ী রবিউল আউয়াল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, রমজান উপলক্ষে আতর, টুপি ও তাসবিহ বিক্রি বেড়েছে। এখন বিক্রি না হলে কখন হবে? যাই বিক্রি হচ্ছে, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

টুপি ব্যবসায়ী ফেরদৌস খান বলেন, তুর্কি ও পাকিস্তানি টুপির বেশ কদর। বাহারি ডিজাইন, আকার ও রংয়ের জন্য মানুষের নজরে বেশি পড়ছে। তবে বিক্রিতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশি টুপিও।
আতর-টুপির দোকানে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন মুসল্লি, ছবি: শাকিল আহমেদতিনি বলেন, তুর্কি টুপি ১’শ টাকা থেকে শুরু করে ৮’শ টাকা পর্যন্ত দাম রয়েছে। ওমানের টুপি ৬’শ টাকা, পাকিস্তানি কুমারি টুপি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চায়না ও সৌদি আরবের টুপির সর্বনিন্ম দাম হচ্ছে ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দাম হচ্ছে ৬’শ টাকা।

আরেক টুপি ব্যবসায়ী মো. মামুন মিয়া বলেন, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি টুপির পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, গুজরাটি, কাশ্মিরী ও কাতারের টুপির বেশ চাহিদা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমার টুপির ব্যবসা গত বছরের তুলনায় এ বছরও প্রায় একইরকম। চার কাটুন বিদেশি টুপি কিনে ছিলাম, এখন এগুলো সময়মত বিক্রয় করতে পারলেই ভালো একটা লাভের মুখ দেখবো।  

আতর ব্যবসায়ী আক্কাস উদ্দিন মন্ডল বলেন, আতরের মধ্যে মুখাল্লাত, জ্যাতি, আমিরে আলুদ, ওয়ান মেন শো, আরশো, ঝুপি, কাচা বিলি, হোয়াইট উদ, কাশ্মীর উদ, সিক ও শাইয়ের কদর বেশি। এসব আতর সর্বনিম্ন ৩ গ্রাম ৫০ টাকা ও ৭ গ্রাম ১০০ টাকা। সামাকা ২৫ গ্রাম ৭০০ টাকা, সাত গ্রাম ২০০ টাকা। এছাড়া আতর ভেদে দামের ভিন্নতা রয়েছে বলেও জানান এ বিক্রেতা।

রুহুল কবির নামের এক ক্রেতা বলেন, সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। আল্লাহ ও রাসূল (সা.) সুগন্ধি পছন্দ করেন, তাই কোরআন নাজিলের মাস রমজানে এ সুগন্ধি কিনলাম। এছাড়া সন্তানদের জন্য কয়েকটি টুপিও কিনেছি।  

আমিনুল ইসলাম খান নামের এক মুসল্লি বলেন, আমি আতর ছাড়া তাসবিহ কিনেছি। যাতে এ মাসে আল্লাহর ইবাদত করতে পারি, সেই দোয়া চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৯
টিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।