রমজান মাস জুড়ে এ মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন প্রায় এক হাজার রোজাদার। প্রতিবছরই ইফতারের সময় রোজাদারদের মিলনমেলা বসে মসজিদের তৃতীয় তলায়।
মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি রমজানে এ মসজিদে ইফতারের আয়োজন করেন কমিটির সদস্য ও সাধারণ মুসল্লিরা। ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত চলছে এ আয়োজন।
তিনি বলেন, মসজিদ কমিটির সদস্য ও শহরের বিত্তবানরা ছাড়াও স্বচ্ছল মুসল্লিরা ইফতারি সঙ্গে নিয়ে আসেন। শহরের অন্য কোনও মসজিদে এতো বড় ইফতারের আয়োজন নেই।
আবুল কাশেম বলেন, ইফতারের ২০-২৫ মিনিট আগেই মসজিদের তৃতীয় তলায় সারিবদ্ধভাবে বসে যান রোজাদাররা। ধনী-গরীব সবাই এক কাতারে বসে ইফতার করেন।
মুয়াজ্জিন ক্বারী নুর উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ইফতারের আগে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করেন পেশ ইমাম মুফতি হাফেজ মুহাম্মদ ইলিয়াস। আলোচনা শেষে রোজাদারদের নিয়ে মোনাজাত করা হয়। এরপর সবাই ইফতারে অংশ নেন।
মসজিদের ইফতার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, ইফতারে অন্তত ১০ ধরনের খাবার থাকে। এরমধ্যে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, খেজুর, শরবত ও পায়েস অন্যতম। মসজিদের ১০ জন খাদেম ও ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক ইফতার বন্টনের দায়িত্বে থাকেন। এ আয়োজনে কখনোই ঘাটতি হয়নি, বরং প্রতিবছরই উদ্বৃত্ত থাকে। সবাই চান এতে শরিক হতে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির পরিচালক ফারুক হারুন বাংলানিউজকে বলেন, রোজাদারদের সঙ্গে ইফতার করায় অনেক ফজিলত আছে। মসজিদ কমিটি নিয়মিত এর আয়োজন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এসএইচডি/একে