খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে এবং দ্বিতীয় ও শেষ জামাত খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকূল হলে টাউন জামে মসজিদে প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল আটটায়, দ্বিতীয় জামাত নয়টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন নতুন কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামপুর জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, সরকারি বিএল কলেজ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, মসজিদে আমানাত সকাল ৮টায়, বাংলাদেশ ব্যাংক কোয়াটার জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, তালাবওয়ালা জামে মসজিদে (দারুল উলুম মসজিদ) ৮টায়, আরাফাত মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, বাইতুল কোবা জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, আব্দুর রশীদ জামে মাসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মতি মসজিদে সকাল ৮টায়, মজিদিয়া খান জাহান নগর জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, পূর্ব বানিয়া খামার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বসুপাড়া ইসলামাবাদ ঈদগাহ ময়দানে, খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ, নিউমার্কেটস্থ বায়তুন-নূর মসজিদ কমপ্লেক্সে, খালিশপুর ঈদগাহ ময়দান, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা (২য় ফেজ), বায়তুল্লাহ জামে মসজিদ, নিরালা আবসিক এলাকা ঈদগাহ, খানজাহান নগর খালাসী মাদ্রাসা ঈদগাহ, দৌলতপুর ঈদগাহসহ অন্যান্য মসজিদ ও ঈদগাহসমূহে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সময় নির্ধারণ সাপেক্ষে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অনুরূপভাবে ৯ উপজেলা ও দু’টি পৌরসভা এলাকার মসজিদগুলোতে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ভবনে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের আগে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক (বাংলা ও আরবি) খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হবে।
ঈদে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র মনিরুজ্জামান মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, খুলনার ঈদের প্রধান জামাতে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। বিশেষ করে সার্কিট হাউজের প্রধান জামাতসহ বড় বড় ঈদগাহে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।
প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য খুলনা সার্কিট হাউজের হেলিপ্যাড, খুলনা অফিসার্স ক্লাব এবং জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম সংরক্ষিত থাকবে।
মুসল্লিদের অযুর জন্য পানির ব্যবস্থাও রাখা হবে। বাস, লঞ্চ, স্টিমারে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং বেপরোয়াভাবে যান চলাচল করতে না পারে তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নের কোনো খবর পেলে তাৎক্ষণিকভাবে র্যাবের কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৭৭৭৭১০৬৯৯-এ জাননো যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৯
এমআরএম/এএটি