এবার হজ মৌসুমে শিডিউলসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে জাতীয় পতাকাবাহী এই উড়োজাহাজ সংস্থা।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ ব্যালটি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬ হাজার ৪০১ নন-ব্যালটি হজ করতে যাচ্ছেন।
তথ্য মতে, আগামী ৪ জুলাই প্রথম দিন ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। ওইদিন উদ্বোধনী ফ্লাইট বিজি-৩০০১ সকাল সোয়া ৭টায় ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। এছাড়া হজ ফ্লাইট বিজি-৩১০১ সকাল সোয়া ১১টায়, বিজি-৩২০১ বিকেল সোয়া ৩টায়, বিজি-৩৩০১ সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ও শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত সোয়া ৮টায়।
বিমানের তথ্য মতে, দুই মাসব্যাপী হজ ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। যার মধ্যে ৩০৪টি ডেডিকেটেড ও ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট। ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রি-হজে মোট ১৮৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে (ডেডিকেটেড ১৫৭ এবং শিডিউল ৩২)। পোস্ট হজে ১১৫টি ফ্লাইট চলবে ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ডেডিকেটেড ৮৬ এবং শিডিউল ২৯)। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মদিনা ১৮টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৯টি ও সিলেট থেকে ৩টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর হজ যাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের ৪টি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রীরা জেদ্দায় যাবেন। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়ন সময় হবে প্রায় ৭ ঘণ্টা।
এদিকে এবার প্রথমবারের মতো কিছু ফ্লাইটের জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকা থেকেই সম্পন্ন করা হবে। এ উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের একটি ইমেগ্রেশন টিম ঢাকায় অবস্থান করবে। এ বছর বিমান হজযাত্রীদের উড়োজাহাজের সামনের অপেক্ষাকৃত বড় ও আরামদায়ক নিশ্চিত আসন নেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়ানওয়েতে ১০০ ডলার ও রির্টান ভাড়া ২০০ ডলারের বিধান রেখেছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের টিকিট ক্রয় করার পর যাত্রার তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে ২০০ মার্কিন ডলার ও যাত্রার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা পরিবর্তনের জন্য ৩০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বাড়তি মাশুল আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত ফ্লাইটে না গেলে টিকিটের অর্থ
ফেরতযোগ্য হবে না।
বিমান কর্তৃক পরিচালিত ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটগুলোর চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রতিবারের মতো এবারও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজ ক্যাম্পেই সম্পন্ন করা হবে। প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক ২ পিস ৪৬ কেজি মালামাল এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন। ১৯৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১০ লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে বলে জানিয়েছে বিমান।
বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি সুন্দর হজ কার্যক্রম পরিচালনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নির্বিঘ্নে হজযাত্রী পরিবহন করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান। হজ কার্যক্রম সফল করে তুলতে আমরা দেশবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন বিমানের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
টিএম/জেডএস