প্রতিবছর হজের সময়ে হাজিদের মিনার ময়দানে অবস্থান করা সুন্নত। জিলহজের ৮ তারিখে মিনার ময়দানের সারি সারি তাঁবুগুলো হাজিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
এবার হজ মৌসুমের সময় মিনাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বহু স্তরের তাঁবু স্থাপন করা হবে, বাসস্থানের ক্ষমতা বিভিন্ন ধরনের সুবিধার পাশাপাশি হাজিদের ধারণ ক্ষমতাও বাড়ে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এমনটাই জানা গেছে।
তাঁবু স্থাপনবিষয়ক ব্যবস্থাপনা চেয়ারম্যান আব্বাস কাত্তান বলেন, হাজিদের সেবার পরিমাণ বাড়াতে সরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিশন-২০৩০ সামনে রেখে এসব প্রচেষ্টা চলছে। তন্মধ্যে তাঁবু বহুস্তরকরণ ও তাঁবুর আশপাশে বড়সড়ো ফাঁকা জায়গা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
>>আরো পড়ুন: বাংলাদেশি হাজিদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানালো সৌদি
কাত্তানের ভাষ্যে জানা যায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী নীচতলা শ্রমিকদের আবাসনের জন্য ও খাদ্য সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে ওপরের তলাগুলো হজযাত্রীদের অবস্থানের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এ পরিকল্পনাটির মাধ্যমে প্রতিটি তাঁবুতে আটজন হাজির জন্য অতিরিক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি তাঁবুগুলো আগুন-প্রতিরোধক এবং স্থাপন করা ও গুটানো খুবই সহজ হবে।
হজ ইসলামের অন্যতম রুকন বা স্তম্ভ। এতে আর্থিক ও দৈহিক ইবাদতের সমন্বয় রয়েছে। যাদের যাবতীয় সামর্থ্য রয়েছে, তাদের জন্য হজ আদায় ফরজ। এ ক্ষেত্রে সমগ্র উম্মত একমত। ইসলামী শরিয়তে বর্ণিত বিশেষ পদ্ধতিতেই তা পালন করতে হয়।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘এতে (কাবা) রয়েছে মাকামে ইবরাহিমের মতো প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে ব্যক্তি এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ আদায় হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; এখানে পৌঁছার যার সামর্থ্য রয়েছে। আর যে ব্যক্তি তা মানে না; আল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না। ’ (সুরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৯৭)
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ আদায় করে এবং সেখানে যাবতীয় মন্দ কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকে, সে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের মতো গুনাহমুক্ত হয়ে ফিরবে ‘ (বুখারি, হাদিস নং: ১৪২৪)
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এমএমইউ