ছবি : প্রতীকী
উসামা ইবনে শরিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মফস্বলের একদল লোক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল। আমরা কি (রোগীর) চিকিৎসা করব না? তিনি বলেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা চিকিৎসা করো। কেননা আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার ওষুধ বা নিরাময়ের ব্যবস্থা রাখেননি। কিন্তু একটি রোগের কোনো নিরাময় নেই। সাহাবিরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সেই রোগটি কী? তিনি বলেন, বার্ধক্য। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৮)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) পরিবারের লোকদের জ-র হলে দুধ ও ময়দা সহযোগে তরল পথ্য বানানোর নির্দেশ দিতেন। তা বানানো হলে তিনি পরিবারের লোকদের নির্দেশ করে এটা থেকে রোগীকে পান করাতে দিতেন।
তিনি বলতেন, এটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনে শক্তি জোগায় এবং রোগীর মনের ক্লেশ ও দুঃখ দূর করে; যেমন—তোমাদের কোনো নারী পানি দ্বারা তার মুখমণ্ডলের ময়লা পরিষ্কার করে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৯)
উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের রোগীদের জোরপূর্বক পানাহারে বাধ্য কোরো না। কেননা প্রাচুর্যময় আল্লাহ তাদের পানাহার করান। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪০)
সৌজন্যে: দৈনিক কালের কণ্ঠ
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এমএমইউ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।