শিশুরা আল্লাহর উপহার। তাদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করা আমাদের দায়িত্ব।
শিশুরা স্বভাবতই বিভিন্ন বিষয়ে বায়না ধরে। তারা হঠাৎ কোলে উঠতে চায়, কখনো কোনো খাবারের জন্য বায়না ধরে (যদিও খাবার এনে দিলে সে খুব বেশি খাবে না)। এতে বিরক্ত হওয়া উচিত নয়; বরং সেই খাবার ঘরে না থাকলে তাদের অন্য কিছু দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত। খাওয়ার সময়, কাপড় পরার সময় বিভিন্ন সুন্নতের অনুশীলন করানো উচিত। তাদের জন্য খরচ করলে তা বিফলে যায় না।
হজরত মিকদাম ইবনে মাদীকারিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, তুমি নিজেকে যা খাওয়াও তা তোমার জন্য সদকা, তোমার সন্তানকে তুমি যা খাওয়াও তা-ও তোমার জন্য সদকা, তোমার স্ত্রীকে তুমি যা খাওয়াও তা-ও তোমার জন্য সদকা এবং তোমার খাদেমকে যা খাওয়াও তা-ও তোমার জন্য সদকা। (আবু দাউদ)
এক মহিলা আয়েশা (রা.)-এর কাছে এলে তিনি তাকে তিনটি খেজুর দেন। সে তার ছেলে দুটিকে একটি করে খেজুর দেয় এবং নিজের জন্য একটি রেখে দেয়। তারা খেজুর দুটি খেয়ে তাদের মায়ের দিকে তাকাল এবং অবশিষ্ট খেজুরটি পেতে চাইল। সে খেজুরটি দুই টুকরা করে প্রত্যেককে অর্ধেক অর্ধেক দিল। রাসুল (সা.) ঘরে এলে আয়েশা (রা.) তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি বলেন, এতে তোমার বিস্মিত হওয়ার কি আছে। সে তার ছেলে দুটির প্রতি দয়াপরবশ হওয়ার কারণে আল্লাহ তার প্রতি দয়াপরবশ হয়েছেন। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি মানুষের আত্মার আত্মীয়। তাদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা আমাদের সবার কর্তব্য। এটা প্রিয় নবী (সা.)-এর শিক্ষা। হজরত বারাআ (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে দেখেছি যে হাসান তাঁর কাঁধের ওপর আসীন অবস্থায় তিনি বলছেন, হে আল্লাহ! আমি একে ভালোবাসি। অতএব, তুমিও একে ভালোবাসো। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, নাসায়ি)
লেখক: সাংবাদিক ও ফতোয়া-গবেষক
সৌজন্যে: দৈনিক কালের কণ্ঠ
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭, জুলাই ২১, ২০১৯
এমএমইউ