ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সৌদি পৌঁছেছেন প্রায় ১০ লাখ হজযাত্রী

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
সৌদি পৌঁছেছেন প্রায় ১০ লাখ হজযাত্রী পবিত্র কাবা শরিফকে সামনে নিয়ে নামাজ পড়ছেন লাখ লাখ মুসল্লি। ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে হজের ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ০৪ জুলাই থেকে। গত বছরের মতো এবারও হজের প্রথম ফ্লাইট ছিল বাংলাদেশ থেকে। সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে প্রায় দশ লাখ হজযাত্রী ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা ও মদিনায় পৌঁছেছেন।

সৌদি পাসপোর্ট বিভাগ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেন, ৮ লাখ ৮১ হাজার ২২৯ হজযাত্রী বিমান পথে সৌদি পৌঁছেছেন। স্থলপথে পৌঁছেছেন ৩৫ হাজার ১৪৮ জন এবং সমুদ্রপথে ১০ হাজার ৪৪৯ জন হজপালনার্থী।

গত বছরের তুলনায় ঠিক এই সময়ের মধ্যে সৌদিতে হজযাত্রী আগমনের সংখ্যা (৯১৪৪০ জন) ১১% বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতি বছর ২০ লাখেরও বেশি হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে সৌদি যান। হজ ইসলামের মৌলিক পঞ্চম স্তম্ভের অন্যতম। এতে আর্থিক, কায়িক ও আধ্যাত্মিক—শ্রমের মিশেল রয়েছে। এটি মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র সম্মিলন ও ঐক্যের আহুত সমাবেশ। সামগ্রিক দিক থেকে শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলমানই জীবদ্দশায় একবার এই তীর্থযাত্রা করবেন বলে আশা করা যায়। এই মৌসুমের হজ আনুমানিক ০৯ আগস্ট থেকে থেকে ১৪ আগস্টের ভেতর হবে।

হজ পালনে লাখ লাখ মুসলমান
সৌদি আরবের পরিসংখ্যান জেনারেল কর্তৃপক্ষের ২০১৮ এর প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৯২ বছরের মধ্যে স্থিতিশীল ও উল্লেখযোগ্য বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর মোট ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৫ জন আল্লাহপ্রেমী মুসলিম হজ করেছিলেন।

বিশ্বের ১.৮ বিলিয়ন মুসলমানের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন মুসলমান হজ ভিসার জন্য আবেদন করেন। তবে কোটা পদ্ধতির কারণে ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতি দেশের মুসলমানের জন্য নির্ধারিত কোটা বরাদ্দ করায় প্রত্যেকে আসতে পারেন না।

ইহরামের কাপড়ে হজ পালনার্থীরা।  ছবি: সংগৃহীতসর্বাধিক সংখ্যক হজযাত্রী যে দেশের
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে সর্বাধিক সংখ্যক হজযাত্রী সৌদিতে আসেন। সৌদি আরবের দেওয়া অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটাসহ প্রায় ২ লাখ ৩১ হাজার ইন্দোনেশিয়ান এই বছর হজ আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আরব নিউজের খবরে জানা গেছে, ইন্দোনেশীয় হজযাত্রীদের ৪০ বছরের দীর্ঘ কোটাটি ভেঙে দেওয়া হবে। এতে আরো বেশি ইন্দোনেশিয়ান হজ পালনে সুযোগ পাবেন।

সৌদি আরবের মধ্যে থেকেই, মুসলমানগণকে হজ করার অনুমতি নিতে আবেদন করতে হবে, যা স্থানের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতি পাঁচ বছরে একবার অনুমোদিত হয়।

হজযাত্রীর পরিসংখ্যান
ভারত থেকে প্রতি বছর পাঠানো হজযাত্রীদের কোটা ৩০ হাজার বাড়িয়ে ( আগে ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার) ২ লাখ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। বর্ধিত কোটার কারণে ভারত ইন্দোনেশিয়ার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক হজযাত্রী পাঠানোর গৌরব অর্জন করছে।

হজযাত্রীদের কোটায় আরও পাঁচ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে পাকিস্তানেরও। সে সূত্রে এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার ২০১ জনেরও বেশি পাকিস্তানি হজ পালন করবেন। এতে তারা ২০১৯ সালের হজ-মৌসুমে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয়তা অর্জন করবে।

বাংলাদেশি হজযাত্রীরা।  ছবি: সংগৃহীতবাংলাদেশ রয়েছে ৪র্থ স্থানে
অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকেও ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী এই বছর হজ পালনে সৌদি পৌঁছাবেন। সে হিসেবে হজযাত্রীর পরিসংখ্যানে ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও পাকিস্তানের পরে বাংলাদেশ ৪র্থ স্থানে রয়েছে। (৫ম স্থানে থাকা নাইজেরিয়া থেকে হজ পালন করবেন ৯৫ হাজার মুসলিম। )

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৯৭ হাজার ৩১২ জন হজযাত্রী। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৬ হাজার ২৫৩ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৯১ হাজার ৫৯ জন হজযাত্রী। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১৪১টি ও সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১৩১টি সহ মোট ২৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। রোববার (২৮ জুলাই) মক্কা থেকে প্রকাশিত হজ বুলেটিন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।