ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

কোরআন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে হৃদয়ের ওমরাহ পালনের সুযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
কোরআন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে হৃদয়ের ওমরাহ পালনের সুযোগ পুরস্কার নিচ্ছে ১ম স্থান অধিকারী হৃদয়। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে ‘পবিত্র কুরআনের আলো’ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে ওমরাহর সুযোগ পেয়েছে হৃদয় আহছান। সে লাখাই উপজেলার গোয়াকারা গ্রামের ডেঙ্গু মিয়ার ছেলে এবং হবিগঞ্জ আহছানিয়া মিশন এতমিখানা হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জ টাউন হলে আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৫ বছর বয়সী হৃদয়ের ওমরাহ পালনের সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে আয়োজক সংগঠন।

প্রতিযোগিতায় ২য় পুরস্কার বিজয়ী হুসাইন আহমদ পেয়েছে ২০ হাজার টাকা। সে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়নপুরের মাওলানা তাজুল ইসলামের ছেলে। তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী হয়ে ১০ হাজার টাকা পেয়েছে মো. আবু নাছের। সে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাটুলীপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুল কদ্দুছের ছেলে। এছাড়াও ৩টি বিভাগে বিজয়ীদের মাঝে সর্বমোট ১ লাখ ৪২ হাজার টাকার নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি। প্রতিযোগিতার পৃষ্টপোষক ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব  করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক আলহাজ মাওলানা শামছুল হক মুসা। কমিটির সদস্য সচিব মুফতি আলমগীর হোসাইন সাইফী ছিলেন অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে।  

এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর  চৌধুরী প্রমুখ।

আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগস্টজুড়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়েছে। জেলার হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে ৩টি গ্রুপে পৃথকভাবে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী ৩০০ জন প্রতিযোগিতার মাঝে ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয় ৩৬ জন। ১ম, ২য় ও তৃতীয় পুরস্কার ছাড়াও ৩৩ জনকে আর্থিক পুরস্কার ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।