সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মক্কার সময় সকাল সাড়ে আটটায় পবিত্র কাবাঘর ধোয়ার আয়োজন করা হয়। ধারাবাহিকতায় এটি চলতি বছরের প্রথম বারের মতো কাবাঘর ধোয়ার কর্মসূচি।
যুবরাজ খালিদের সঙ্গে এ সময় ছিলেন পবিত্র কাবার প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস, মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিশেষ জরুরি বাহিনীর প্রধান এবং হজ নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ও অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা।
কাবাঘর ধোয়ায় যা কিছু ব্যবহার হয়
সাধারণত কাবাঘর পরিস্কারের জমজমের পানি, খাঁটি গোলাপ জল এবং উন্নত মানের সুগন্ধি ‘উদ’ ও কস্তুরি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। প্রথমে গোলাপের সুগন্ধিযুক্ত জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়। তারপর খালি হাতে খেজুরপাতা দিয়ে পরিস্কার করা হয়। পরিস্কার করার পর মেঝে ও দেয়াল কোমল সাদা কাপড় ও উন্নত মানের টিস্যু দিয়ে মোছা হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় প্রায় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা রাখা হয়।
যেভাবে কাবাঘর ধোয়া হয়
এদিন সকাল সকাল কাবার দরজার সঙ্গে বিশেষ সিঁড়ি লাগানো হয়। এরপর সবাই কাবাঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। কাবাঘরের চারপাশে তখন বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করেন।
কাবাঘর ধোয়া শেষে ভেতর থেকে বের হয়ে সবাই ধারাবাহিকভাবে হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) চুম্বন করেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। (অবশ্য অনেকে ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশের আগে একবার নফল তাওয়াফ ও দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নেন। তারা পরের তাওয়াফ ও নফল নামাজ আগে সেরে নেন। )
মূলত প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসরণে পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার মহৎ কাজটি বড় উৎসব হিসেবে পালন হয় করা হয়। ৬৩০ সালে যখন রাসুল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল, তখন তিনি মহান আল্লাহর এ পবিত্র ঘর ধৌত করেছিলেন।
কাবা শরিফ বিশেষত শাবান-মহররম মাসে ও অন্যান্য সময়ে ধোয়া হয়। তবে কাবার গায়ে নতুন গিলাফ পরানো হয় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা ও প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এমএমইউ