বার্ধক্য মুমিনের জন্য বিচলিত হওয়ার কিছু নয়। কারণ বার্ধক্য পরকাল সম্পর্কে মুমিনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
হাদিসে এসেছে, “রাসুলুল্লাহ (সা.) বার্ধক্যের সাদা চুল উপড়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, এটা হলো ‘মুমিনের নুর’। ” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৬৯৩৭)
কেয়ামতের দিন এই সাদা চুল-দাড়ি মুমিনের জন্য নুর হবে। যেদিন নূরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সে অর্থে নুর বলা হয়েছে। আমর ইবনে আবাসা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম অবস্থায় যার কোনো চুল বা দাড়ি পাকবে, কেয়ামতের দিন তা ওই ব্যক্তির জন্য নুর-আলো হবে। ’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৬৩৪)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘যখন কোনো মুসলিমের চুল বা দাড়ি পাকে, তখন আল্লাহ এর বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, একটি গুনাহ মাফ করা হয় এবং একটি নেকি লেখা হয়। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৬৯৩৭; আবু দাউদ, হাদিস: ৪২০২)
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা ও প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএমইউ