ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সাতটি অভ্যাস মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
সাতটি অভ্যাস মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে

কিছু অপরাধ-অভ্যাস মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। ডেকে আনে সীমাহীন গুনাহ। অভ্যাসগুলো পার্থিব ও অপার্থিব—সবক্ষেত্রেই পরিত্যাজ্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বরাবরই সে ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকতে সবাইকে সতর্ক করেছেন। 

আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
আবদুল্লাহ্‌ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানকে শিরকের সঙ্গে মিশ্রিত করেনি’-[সুরা আনআম ৬/৮২]; এ আয়াত অবতীর্ণ হলে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে জুলম করেনি?’ তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন, ‘নিশ্চয়ই শির্‌ক হচ্ছে অধিকতর জুল্‌ম। ’ [সুরা লুকমান: ৩১/১৩] (বুখারি, হাদিস: ৩৩৬০, ৩৪২৮)

জাদু-টোনা করা
জাদুটোনা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ।

তাই তা শিক্ষা করা বা জাদুকরদের বিশ্বাস করা হারাম। হাফেজ ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে—‘আমরা তোমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। সুতরাং তোমরা কুফরি কোরো না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১০২)

এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়, জাদু শিক্ষা করা কুফরি। (ফতহুল বারি: ১০/২২৫)

অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা গোটা মানবতাকে হত্যার নামান্তর। তা যে পদ্ধতিতেই হোক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো প্রাণের বিনিময় অথবা জমিনে বিশৃঙ্খলা করা ব্যতীত কাউকে হত্যা করল সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল...। ’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত: ৩২)

সুদের লেনদেন করা
সুদ ইসলাম ধর্মে একটি জঘন্য হারাম হিসেবে সাব্যস্ত। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে বান্দাকে সতর্ক করেছেন। এর প্রভাবে দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি হয়। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে ঈমানদাররা! আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমাদের যে সুদ বাকি আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা ঈমানদার হও। যদি তোমরা তা না করো, তবে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত: ২৭৮-২৭৯)

এতিমের মাল (অন্যায়ভাবে) ভক্ষণ করা
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের ধনসম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে, তারা তো তাদের পেটে আগুন খাচ্ছে; আর অচিরেই তারা প্রজ্ব্বলিত আগুনে প্রবেশ করবে। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত: ১০)

রণাঙ্গন থেকে পলায়ন করা
যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের ভয়ে রণাঙ্গন থেকে পলায়ন একটি জাতি ধ্বংস করে দেয়। এ কারণে মহান আল্লাহ মুমিনদের উদ্দেশে বলেন, ‘হে মুমিনরা, যখন তোমরা কাফির বাহিনীর মুখোমুখি হও, তখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কোরো না (পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা  কোরো না)। ’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ১৫)

যারা এ ধরনের পরিস্থিতিতে পলায়ন না করে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন। যার উদাহরণ বদর যুদ্ধ।

সতীসাধ্বী নারীকে অপবাদ দেওয়া
মিথ্যা অপবাদ দেওয়া কবিরা গুনাহ। যদি কেউ কোনো মুমিন সতী নারীর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে এবং তা প্রমাণ করতে না পারে, তবে ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে অপবাদদাতা নিজেই ৮০ বেত্রাঘাত সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে যায়। তা ছাড়া এই ধরনের অপরাধ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। (বুখারি, হাদিস: ২৭৬৬)

সৌজন্যে: দৈনিক কালের কণ্ঠ

ইসলাম বিভাগে আপনিও প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন ও লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।