মহানবী (সা.) এর জন্মদিনে আমাদের করণীয়
প্রিয় নবীর জন্মদিনে উম্মতের করণীয় কী হতে পারে? এর উত্তরে বলা যায়, রোজা রাখা। মহানবী (সা.)-কে সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমাকে নবুয়ত দান করা হয়েছে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ১১৬২)
মুসলিম শরিফে বর্ণিত বিশুদ্ধ এই হাদিসের আলোকে জানা যায়, প্রিয় নবীর জন্মদিনে উম্মতের করণীয় কী? এই দিনে উম্মতের করণীয় হলো, রোজা রাখা। তার প্রতি অধিক পরিমাণে দরূদ ও সালাম পাঠ করা।
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমলনামা আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয়। সুতরাং রোজা অবস্থায় আমার আমলনামা উপস্থাপন করা হোক, এটা আমি পছন্দ করি। ’ (তিরমিজি, হাদিস: ৭৪৭) তাই মহানবী (সা.) এর জন্মের দিনে নফল রোজা রাখা প্রকৃত নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, মহানবী (সা.) এর জন্মের ঘটনার চেয়েও তার সর্বব্যাপ্ত জীবনাদর্শ আমাদের জন্য অধিক প্রয়োজনীয়। মহানবী (সা.) এর জন্মের বিষয়টি একান্ত তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার সিরাত বা জীবনাদর্শ সব যুগের, সব মানুষের জন্য। বিশ্বমানবতার মুক্তির জন্য। আর নবীপ্রেমের প্রথম শর্ত হলো নবীর আনুগত্য। বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন না ঘটলে নবীপ্রেমের দাবি অর্থহীন।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক লেখা ও জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন পাঠাতে ই-মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এমএমইউ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।