ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ওসমানি সাম্রাজ্যের ২৩৫ বছর পুরোনো ইসহাক পাশা প্রাসাদ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
ওসমানি সাম্রাজ্যের ২৩৫ বছর পুরোনো ইসহাক পাশা প্রাসাদ

প্রাচীন ইসহাক পাশা প্রাসাদ। তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় আ’রি প্রদেশের দউবেয়জিত জেলায় অবস্থিত। এটি ওসমানি-টিউলিপ যুগের প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন। প্রতি বছর এটি দর্শনে শত শত পর্যটক যায়।

ইসহাক পাশা প্রাসাদে বৈচিত্রপূর্ণ স্থাপত্য-শৈলীর সমন্বয় রয়েছে। পারসিক, আর্মেনীয়, জর্জিয়ান, সেলজুক ও ওসমানি স্থাপত্যকলা এতে সৌন্দর্য ও ভিন্নতা সৃষ্টি করেছে।

 প্রাচীন রেশম সড়কের প্রান্ত ঘেঁষে এটির অবস্থান।  ইস্তাম্বুলের তোপকাপি প্রাসাদের পর তুরস্কের সবচেয়ে বড় ওসমানি-প্রাসাদ এটি।

ইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীত

প্রাসাদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৬৮৫ সালে। তৎকালীন স্থানীয় গর্ভনর আবদি পাশা এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। পরবর্তীকালে তার ছেলে ইসহাক পাশা এটির নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করেন। এভাবে ধারাবাহিকভাবে ইসহাক পাশার ছেলে মুহাম্মদ পাশা, তারপর  মুহাম্মদ পাশার ছেলে ইসহাক পাশা তত্ত্বাবধান করেন। শেষ পর্যন্ত ১৭৮৪ সালে মুহাম্মদ পাশার ছেলে ইসহাক পাশার হাতে প্রাসাদটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।

ইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীত

দূর থেকৈ দেখতে প্রাসাদটিকে দউবেইজিত শহরের প্রহরীর মতো লাগে। যেন একজন প্রহরী শহরের ওপর নজর রাখছে। মূলত দউবেইজিত শহরের উত্তরে অবস্থিত পাহাড়ের ওপর স্থাপিত হওয়ায় দেখতে এমনটা লাগে।

ইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীত

পাথর খোদাই করে প্রাসাদের অলঙ্করণের কাজ করা হয়। প্রাসাদের আয়তন ৭৬০০ বর্গ মিটার। এতে ৩৬৬টি কক্ষ রয়েছে। তুর্কি মুদ্রা ১০০ লিরার নোটে এই প্রাসাদের ছবি রয়েছে।

ইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত—প্রাসাদটি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। প্রাসাদে প্রবেশমূল্য পাঁচ তুর্কি লিরা (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ টাকার সমমান)।

ইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীতইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীতইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীতইসহাক পাশা প্রাসাদ।  ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক লেখা ও জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।