ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সিরাজগঞ্জের দুই মডেল মসজিদে প্রথম আযান ও নামাজ আদায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২১
সিরাজগঞ্জের দুই মডেল মসজিদে প্রথম আযান ও নামাজ আদায় নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: বাংলানিউজ

সিরাজগঞ্জ: যোহরের আযান ও জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো সিরাজগঞ্জে নব নির্মিত দুইটি মডেল মসজিদের। মুসল্লিরা নতুন মসজিদের প্রথম আজানের ধ্বনি শুনেই নামাজ পড়ার জন্য ভিড় জমান।

 

শুক্রবার (১১ জুন) দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ (খান সাহেবের মাঠ) মাঠের পাশে জেলা মডেল মসজিদ ও সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। দুটি মসজিদেই ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। দুটি মসজিদে প্রায় দেড় সহস্রাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

জেলা মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মুনীর হোসেন, পৌরসভার মেয়র মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদউদ্দিন পবলুসহ প্রায় ৮ শতাধিক মুসল্লি। ইমামতি করেন পেশ ইমাম ও খতিব মওলানা মো. তরিকুল ইসলাম।  

অপরদিকে সদর উপজেলা মসজিদে নামাজ আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নূর দীপুসহ ৭ শতাধিক মুসল্লি।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের দুটিসহ সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

পেশ ইমাম ও খতিব মওলানা মো. তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আজ ৮ শতাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে প্রথম জুমার নামাজ আদায় হলো এই মসজিদে। এখন থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ হবে এখানে।  

নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, একসঙ্গে এতগুলো মসজিদ নির্মাণের ঘটনা বিশ্বে বিরল, যা বাংলাদেশে হলো। এর মধ্য দিয়ে ইসলামকে পুরোপুরি জানার ফলে ধর্মান্ধতা, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলেম-ওলামারা।

সিরাজগঞ্জের ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ জানান, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ (খান সাহেবের মাঠ) এর পাশে জেলা মডেল মসজিদটিতে প্রতিদিন ১২শ ও সদর উপজেলার সামনের মডেল মসজিদে ৮শ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। আরব বিশ্বের মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের আদলে নির্মিত এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে থাকবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে নারী-পুরুষের আলাদা অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা। লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষাকেন্দ্র ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। এছাড়াও রয়েছে ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।