আরবি জিলহজ মাসের নবম দিনটিকে আরাফার দিন বলা হয়। এ দিনে হাজিরা মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন।
ফজিলত হিসেবে এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসে আছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকের প্রতিটি দিন ১ হাজার দিনের সমতুল্য আর আরাফার দিনটি ১০ হাজার দিনের সমান মর্যাদাপূর্ণ। -ফতহুল বারি
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আরাফার দিনটি সব দিবসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। -উমদাতুল কারি
নানা কারণে এ দিবসটি মুসলমানদের কাছে স্মরণীয়। স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে এ দিনের কসম খেয়েছেন।
আরাফার ময়দানে অবস্থানরত হাজিদের ওপর আল্লাহতায়ালার অজস্র রহমত বর্ষিত হয়। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, বদরের যুদ্ধের দিন বাদে শয়তান সবচেয়ে বেশি অপদস্থ, ধিকৃত ও ক্রোধান্বিত হয় আরাফার দিনে। কেননা এ দিন শয়তান আল্লাহ পাকের অত্যধিক রহমত এবং বান্দার অগণিত পাপরাশি মাফ হতে দেখতে পায়। -মুয়াত্তা ও মিশকাত
আরাফার দিনটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। তাই এ দিন বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করা অপরিহার্য। আরাফার দিনের আমলসমূহের মাঝে রয়েছে-
এক. জিকির ও তাসবিহ পাঠ করা।
দুই. বেশি বেশি দোয়া ও এস্তেগফার পড়া। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া। এ দিনে দোয়া ও তওবা কবুলের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।
তিন. রোজা রাখা। নবী করিম (সা.) বলেন, আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তিনি এ রোজা দ্বারা পূর্ববর্তী এক বছরের এবং পরবর্তী এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এসআই