ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

চাঁদপুরে “আল্লাহর ৯৯ নাম লেখা স্তম্ভ” উদ্বোধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২২
চাঁদপুরে “আল্লাহর ৯৯ নাম লেখা স্তম্ভ” উদ্বোধন

চাঁদপুর: চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে “আল্লাহর ৯৯ নাম লেখা স্তম্ভ” আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

নির্মাণ কাজ শেষে বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে স্তম্ভ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও কচুয়া পৌরসভার মেয়র মো. নাজমুল আলম স্বপন।

ওই গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী “আল্লাহর ৯
৯ নামের স্তম্ভ” নির্মাণের জন্য প্রথমে উদ্যোগ নেন। এরপর তার বড় ছেলে আব্দুল হান্নান মিয়াজী ও স্থানীয়দের অর্থায়নে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. জাকির হোসেন মিয়াজী, মো. আমান উল্যাহ, আবু বকর মজুমদার, মো. সুমন, মো. ওয়াদুদ মজুমদার, অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী, মো. আবদুল হান্নান মিয়াজী, মোস্তফা ফখরুদ্দীন আহমেদ ও মো. বোরহান উদ্দিন মজুমদার।

আবদুল হান্নান মিয়াজী বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে “আল্লাহর ৯৯ নাম লেখা স্তম্ভ” নির্মাণ করা হয়েছে সাওয়াবের উদ্দেশে। এখানে রাস্তা দিয়ে যারা যাতায়াত করবেন, তারা দেখবেন, পড়বেন। এতে তাদের যেমন সাওয়াব হবে, তেমনি নির্মাণে জড়িতরাও সাওয়াব পাবেন। এটি উচ্চতায় প্রায় ৪০ ফুট। এটি নির্মাণে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি নিজে অর্থায়ন করেছি, পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছেন।

বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, আমার ছোট ভাই মোস্তফা কামাল আল্লাহর ৯৯ নামের এ স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। দেশে এ ধরণের স্তম্ভ আরও কয়েকটি আছে। সেগুলো দেখেই সে অনুপ্রেরণা পায়। এরপর বিষয়টি তার সন্তান আব্দুল হান্নানকে জানালে ছেলেও তার সঙ্গে একমত হয় এবং নির্মাণ কাজ শুরু করে। আলহামদুলিল্লাহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন মানুষ এটি দেখবে, আল্লাহর নাম স্মরণ করবে, এটাই আমাদের বড় পাওয়া।

তিনি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেসব “আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ” নির্মিত হয়েছে, সেসবের অনেকগুলোতে সরকারি অর্থায়ন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করেছি। এখন এটি রক্ষণা-বেক্ষণে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অর্থায়ন করা হয়, তাহলে আমরা গ্রহণ করব। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এটির ক্ষয়ক্ষতি হলে মেরামত করার প্রয়োজন হবে। আমরা আর্থিক অনুদানের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করব।

উদ্যোক্তা মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী বলেন, এক সময় আমাদের এলাকার লোকজন মসজিদ না থাকায় রাস্তায় নামাজ পড়তেন। আমরা উদ্যোগ নিয়ে বায়তুল আমান জামে মসজিদ নির্মাণ করি। এরপর নিজেদের মধ্যে চিন্তা হয়, একটি স্মরণীয় কিছু নির্মাণ করার। তখনই আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত স্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আসা-যাওয়ার পথে আল্লাহকে স্মরণ করার জন্যই মূলত এটি নির্মাণ করা। চাঁদপুর জেলায় প্রথম এমন স্তম্ভ নির্মিত হলো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।