ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে তিনদিনের জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন এবং এ সংক্রান্ত মেলা। এদিন সকাল ১০টায় ভার্চ্যুয়ালি এ সম্মেলন ও মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদারসহ অন্যান্য নেতারা।
হাব সভাপতি বলেন, এর আগে হজ ও ওমরা নিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কোনো সম্মেলন হয়নি। এটিই দেশে প্রথম হজ ও ওমরা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলন। বাংলাদেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ হজ এবং শতভাগ ওমরাহযাত্রী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে যান। অতীতে হজ ব্যবস্থাপনায় নানারকম ত্রুটি-বিচ্যুতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ও হাবের প্রচেষ্টায় হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এবং শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
মেলার উদ্দেশ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে হজযাত্রীদের অধিকাংশই গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। কিন্তু বেশিরভাগ হজ ও ওমরাহ এজেন্সির প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্ম ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই এই মেলার মাধ্যমে সব হজ এজেন্সি সম্পর্কে সবাইকে পরিচয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, হজযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, হজকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম ও মধ্যস্বত্বভোগী রোধ করা এবং হজ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানসহ হজ ও ওমরা সম্পর্কে অবহিতকরণ এই মেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এছাড়া যাত্রী, হজ এজেন্সি ও অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে ই-হজ সিস্টেম ও মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদান-প্রদানে দুটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান হাব সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হজ ও ওমরা মেলায় ১৫২টি স্টল থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে সমাপানী অনুষ্ঠান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড