ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

বাংলানিউজকে এরশাদ

রংপুরে গ্যাস পেতে আন্দোলনের বিকল্প নেই

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৬
রংপুরে গ্যাস পেতে আন্দোলনের বিকল্প নেই ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রংপুরে গ্যাসের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। শিগগিরই আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।


 
বুধবার (২৪ মে) বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমন প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

 
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি রংপুরে গ্যাস নেওয়ার জন্য যমুনা বহুমুখী সেতু করেছিলাম। কিন্তু আমি চলে যাওয়ার পর প্রথমে সিরাজগঞ্জ পরে বগুড়া পর্যন্ত গ্যাসের পাইপলাইন গিয়ে থেমে গেছে। দাবি উঠলেই গ্যাস সংকটের কথা বলা হয়। আন্দোলন ছাড়া গ্যাস পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না’।
 
এরশাদ বলেন, ‘রংপুর অঞ্চল অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার। জ্বালানির মূল্য বেশি- এ কারণে এই অঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠছে না। অন্যান্য অঞ্চল কম দামে গ্যাস ব্যবহার করছে। আর তখন রংপুরে চড়া দামে ফার্নেস অয়েল কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ তিনগুণ বেড়ে যাচ্ছে’।

 
‘উৎপাদন খরচের এ তারতম্যের কারণে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না ভেবে রংপুর অঞ্চলে কেউ শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হচ্ছেন না। আর শিল্প না থাকার কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় বেকার থাকেন ওই অঞ্চলের লোকজন। ছুটতে হয় কাজের সন্ধানে’।
 
‌এরশাদ বলেন, ‘খুব দুঃখ লাগে, যখন দেখি, রংপুরের লোকজন রিকশা চালানোর জন্য ঢাকা ও সিলেটে যান। সিলেটের রিকশাচালকদের পল্লী রয়েছে’।

 
বাজেট অধিবেশনে রংপুরে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব উস্থাপন করবেন বলেও জানান এরশাদ।

তিনি বলেন, ‘গ্যাসের সমমূল্যে ফার্নেস অয়েল দিতে হবে রংপুর অঞ্চলে। যাতে গ্যাস ব্যবহারকারী শিল্পের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতা কমে আসে’।
 
রংপুর অঞ্চলের শিল্পায়নের আরও একটি বড় বাধা হচ্ছে, নদীবন্দর অনেক দূরে। যে কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। এজন্য রংপুর অঞ্চলের জন্য বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান এরশাদ।

 
এরশাদ বলেন, ‘আঞ্চলিক বৈষম্যের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান ভাগ হয়েছে। বিষয়টি ‍আমাদের ভুলে গেলে চলবে না’।
 
দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে উত্তরাঞ্চলের প্রতি বৈষম্য কমাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন এরশাদ।

 
‘খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়। শিশুরা পথে ঘুমিয়ে থাকে। আমি পথকলি ট্রাস্ট করেছিলাম পথশিশুদের জন্য। কিন্তু সেই ভালো কাজটি শুধু আমি শুরু করেছিলাম- এ কারণে বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি। মানুষ এ প্রতিহিংসার রাজনীতি পছন্দ করেন না’।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৬
এসআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।