শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করতে আসেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এসময় সমাবেশ মঞ্চে এরশাদের পাশে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
তিনি বলেন, শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে সমাবেশ হবে সে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখানে এসেছেন। তিনি প্রত্যক্ষ করছেন, কি ধরনের আয়োজন হচ্ছে। কোনো ত্রুটি আছে কি না। আমাদের জোটের নেতারাও এসেছেন। শনিবারের সমাবেশে সারাদেশ থেকে জোট ও জাতীয় পার্টির লাখ লাখ নেতাকর্মী-সমর্থক আসবেন। আশা করছি এটা একটা জনসমুদ্র হবে। এই ঢাকা শহর কানায় কানায় ভরে যাবে জাতীয় পার্টি এবং জোটের নেতাকর্মীদের পদচারণায়।
রুহুল আমিন বলেন, মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার বক্তব্যে দেশবাসীর উদ্দেশে কি বলবেন, তা শোনার জন্য। তিনিও (এরশাদ) প্রস্তুত আছেন। দেশবাসীকে আশার বাণী শোনাবেন এবং দিক নির্দেশনা দেবেন। আমরা আশা করছি, আগামী নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টি এবং জোটকে প্রস্তুত হওয়ার কথা বলবেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি লাখ লাখ লোক আসবে। সারাদেশ থেকে বাস ট্রেন ও আকাশ পথে মানুষ আসা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা শহরে আমাদের সমর্থকরা এসে অবস্থান করছেন। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে এই মাঠ এবং আশে পাশের সমস্ত জায়গা ভরে যাবে। আমরা এটার নিশ্চয়তা পেয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, জোট এবং আমাদের দল একই, এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। সবাই জানেন যে আমরা জোট গঠন করেছি। এই জোটের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এটা সম্মিলিত জোটের সমাবেশ।
এই সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার আমাদের যাত্রা শুরু হবে উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, গত দুই মাস আগে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত শাহজালালের মাজার থেকে নির্বাচনের কাজ শুরু করেছিলাম। তারপর আমরা সারাদেশ ঘুরে এসেছি। এই মহাসমাবেশ নিয়ে দেশবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। দেশবাসী সাড়া দিয়েছে। দল সংগঠিত হয়েছে। কি রকম সংগঠিত হয়েছে সেটা আগামীকাল দেখতে পারবেন। আশা করি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে নতুন এই জোটকে শক্তিশালী অবস্থায় দেখতে পাবেন।
শনিবার সমাবেশে চেয়ারম্যান কি বলবেন, জানতে চাইলে রুহুল আমিন বলেন, সেটাতো কালকে জানতে পারবেন। আশা করি দেশের নিরাপত্তার, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হতে পারে সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। দেশের মানুষ সব দলের সহাবস্থান দেখতে চায়। দলীয়ভাবে আমাদের মধ্যে মত-পার্থক্য থাকবেই। কিন্তু নির্বাচন যেন সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে সেসব বিষয়ে আলোকপাত করবেন চেয়ারম্যান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, এসএম ফয়সাল চিশতী, সোলায়মান আলম শেঠ, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, জাতীয় যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ইফতেখার আহসান (হাসান) প্রমুখ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল ঘিরে নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত শত শত ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। উত্তর দিকে মুখ করে বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত মাইক লাগানো হয়েছে। কাকরাইল মসজিদ মোড় থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কদ্বীপে লাগানো হয়েছে নানা রং-বেরং’র পতাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ