অথচ আগামী নির্বাচনে এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে হম্বিতম্বি করছেন।
এদিকে সোমবার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত মাত্র দুইজন কাউন্সিলর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে মসফিকুর রহমান নামে একজন দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। মেয়র পদে প্রার্থী যিনি আগ্রহী তাকে দলের লোকজনই যোগ্য বলে মনে করছেন না। আর যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারে জাতীয় পার্টি। সে সম্ভাবনাই জোরালো বলে জানা গেছে।
একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, দলের মধ্যে যোগ্য প্রার্থী নেই একথা পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে তারা কেনো জানি নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। খুলনায় বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছে যারা জয়ী হতে না পারলেও সম্মানজনক ভোট পাবেন। কিন্তু তারা নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্র থেকেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
খোদ দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের কথাতেও প্রার্থী সংকটের বিষয়ে অনেকটাই ফুটে উঠেছে। তিনি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ভালো প্রার্থীর সন্ধানে আছি। আরতো মাত্র দু’দিন সময় হাতে? জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা দেখছি। পাশ করতে না পারলেও যেনো সম্মানজনক ভোট পায়, শেষ বৈতরণীতে টিকে থাকতে পারে তেমন প্রার্থী দিতে চাই। ’
তিনি বলেন, আমরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। এখন দলের দারুণ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। এখন এমন কোনো প্রার্থী দিয়ে অসম্মানজনক পরাজয় বরণ করতে চাই না।
জাপা আদৌ নির্বাচনে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, এখনই এ বিষয়ে উত্তর দেওয়ার সময় আসেনি। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বলতে পারবো।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব আছে কী না? জবাবে জাপা মহাসচিব হ্যাঁ-না কোনটাই বলেন নি। তিনি বলেন, তারা বড় দল, তাদের সক্ষমতা রয়েছে। তারা সে ভাবেই সিদ্ধান্ত নেবে।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের বাংলানিউজকে জানান, প্রার্থী দেওয়া না দেওয়া প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। পার্টির চেয়ারম্যান এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসআই/এনটি