শনিবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা থেকে রংপুরে এসে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি আমাদের অংশীদার করে নেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে করা আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘অব্যাহত আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনের দুঃখে কোটাপদ্ধতি বাতিল করেছেন। আমার মনে হয় কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল করতে তিনি নিজেও চান না। আগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে ৩০ ভাগ কোটা ছিলো এটা ঠিক ছিল না। মাত্র ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধার জন্য এতো কোটার প্রয়োজন ছিল না। এটা অযৌক্তিক ছিল। ফলে কোটা ঠিক করে দিলেই চলবে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু হলেও কোটার বরাদ্দ থাকা উচিত। ’
এরশাদ বলেন, ‘দেশের সংবিধানে আছে কোটা পদ্ধতি। সে কারণে কোটা পদ্ধতি থাকতেই হবে। তবে এটা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা জরুরি। এটা কারও পক্ষেই বাতিল করা যাবে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির অবস্থা ভালো না। তারা নির্বাচনে আসুক না আসুক আমরা নির্বাচনে অংশ নেব। রংপুরে জাতীয় পার্টির আবারও গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব সারাদেশে পড়বে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসবে। এটা আপনাদের বলতে পারি। ’
এ সময় দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, জাপানেতা সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি মেয়র ও মহানগর জাপা সভাপতি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহরের সেন্ট্রাল রোড এলাকার লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানে তিনি বেশ কিছু সময় উপস্থিত থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
রোববার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
এসএইচ/জেএম