ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

চীনের মহাপ্রাচীরের গল্প

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১২
চীনের মহাপ্রাচীরের গল্প

ঢাকা: চীনের প্রাচীর বা গ্রেট ওয়াল অব চায়না (Great Wall of China) এর নাম তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছ। কিন্তু এটি কেন নির্মাণ করা হয়েছিল তা কি তোমরা জানো?

প্রথমেই বলে নেয়া ভালো পৃথিবীর দীর্ঘতম এই প্রাচীরটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৬৯৫ কিলোমিটার আর চওড়ায় প্রায় ৩২ ফুট।

ভূমি থেকে উচ্চতা স্থান ভেদে ১৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত।

এই প্রাচীর নির্মাণের কাজ ২২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হয়ে শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ বছর। দৃষ্টিনন্দন এই প্রাচীর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ইট আর পাথর।

কেন তৈরি হয়েছিল?
প্রতিবেশি মাঞ্চুরিয়া আর মঙ্গোলিয়ার যাযাবর দস্যুদের হাত থেকে চীনকে রক্ষা করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল চীনের মহাপ্রাচীর বা গ্রেট ওয়াল অব চায়না। ২৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীন বিভক্ত ছিল খণ্ড খণ্ড রাজ্য আর প্রদেশে। এ রাজ্যগুলোর একটির রাজা শি হুয়াং-টি (Shih Huang-ti)।   প্রভাবশালী এই রাজা আশপাশের রাজাদের সংঘবদ্ধ করে নিজে সম্রাট হন।

চীনের উত্তরে গোবী (Gobi) মরুভূমির পূর্বাংশে দূর্ধর্ষ মঙ্গলদের বাস ছিল। লুটতরাজই ছিল তাদের জীবিকার প্রধান উৎস। এদের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য সম্রাটের নির্দেশে চীনের প্রাচীর নির্মাণের কাজ আরম্ভ হয়।

প্রাচীরটি নির্মাণ হয়েছিল চিহলি (Chihli, পুরানো নাম পোহাই Pohai) উপসাগরের কূলে শানসিকুয়ান (Shansikuan) থেকে কানসু (Kansu) প্রদেশের চিয়াকুমান (Chiakuman) পর্যন্ত।

তবে যে উদ্দেশ্যে প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা কিন্তু সফল হয়নি। কারণ এর অনেক জায়গা প্রায়ই ভেঙ্গে পড়ত। অনেক সময় মঙ্গল দস্যুরা প্রাচীর ভেঙ্গে চীনা লোকালয়ে ঢুকে লুটপাট করতো। এসব ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে প্রাচীরের অনেক জায়গায় এখানো কিছু কিছু ভাঙা অংশ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১২

সম্পাদনায়: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি; আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।