ঢাকা: ‘মৌমাছি মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি, দাঁড়াও না একবার ভাই, ঐ ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময়তো নাই। ’
ছড়াটি পড়ার সময় প্রশ্ন জাগতেই পারে, কীভাবে মৌছিরা মধু তৈরি করে?
আসলে মানুষ মৌচাক থেকে যে মধু আহরণ করে তা মৌমাছির সঞ্চয় করা মধু।
ফুলের মধ্যে এক প্রকার মিষ্টি তরল পদার্থ থাকে যার নাম নেক্টার। মৌমাছিরা ফুল থেকে এই নেক্টার প্রথমে নিজেরা পান করে এবং তাদের দেহের মধু থলিতে করে মৌচাকে নিয়ে যায়।
মৌচাকে আনার পর ফুলের নেক্টারে যে চিনি বা শর্করা থাকে তা বিক্রিয়া শুরু করে। এর ভেতর যে পানিকণা থাকে তা বাষ্পে পরিণত হয়ে বেরিয়ে যায়। এর ফলে মৌচাকের মধু অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
এভাবে মৌমাছিরা নিজেদের খাদ্য হিসেবে মধু সংগ্রহ করে রাখে। আর এই মধুতে থাকে সেলুলোজ, ডেক্সট্রোজ, মন্টোজ, এনজাইম, ভিটামিন ও নানা খনিজ পদার্থ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
এসআই