ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

এইটা ছড়ার বই

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১২
এইটা ছড়ার বই

ইচ্ছেঘুড়ির বন্ধুরা, তোমাদের যদি চড়ুই কিংবা শালিক নিয়ে একটি ছড়া লিখতে বলা হয় তাহলে কী লিখবে? তোমরা কী লিখবে ভাবতে থাকো। এই ফাঁকে আমি কী লিখবো সেটা বলি শোনো।

“একটা চড়ুই/ফুড়ুৎ ফাড়ুৎ/উড়তে থাকে/ঘুরতে থাকে/দুরন্ত সে/দুপুর রোদে/ইচ্ছে করে/পুড়তে থাকে/শালিকগুলো/মাখছে ধুলো/দখল করে/ঘাসজ্বলা মাঠ/শালিকছানা/উড়তে মানা/আউড়ে চলে/মা-র বলা পাঠ। ”

আমরা পরিবেশের কতোকিছু থেকেই তো পাঠ নেই। পরিবার-পরিজন, স্কুল-কলেজ, বই-পত্র কোনো কিছুই পাঠ থেকে বাদ যায় না। বই পাঠ বা পড়ার সময় কিংবা মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধবের মুখে তোমরা নিশ্চয় ঢাকার গুলশান, মহাখালী, মতিঝিল, গাবতলীর নাম শুনেছো। কিন্তু বন্ধুরা, মহাখালী কি সবসময় খালি থাকে? গাবতলীতে আছে গাবগাছ? মতিঝিলে কি আছে মতি?

আমরা জানি ওসব জায়গায় এসবের কিছুই নেই। এ বিষয়টি যদি ছড়ায় ছড়ায় বলা যায় তাহলে কেমন হবে সেটিই শোনো। ‘ভীড় কি ভীষণ! নামেই মহাখালী/কোথাও তো নেই একটুখানি ফাঁকা/নামগুলো যে মিছেই জোড়াতালি/যায় না যে মেজাজ ভালো রাখা/গাবগাছও ঠিক গাবতলীতে নাই/এখন সেটা অনেক দূরের গাঁয়ে/দালান তো নয় গোলাপ বাগান চাই/একটু শিশির লাগুক নাহয় পা-য়ে। ’

শীতের সকালে পায়ে শিশির লাগার মজাই আলাদা। গাছের নিচে শিশির ভেজা ঘাসগুলো আমাদের যেন অভ্যর্থনা জানায়। মনে হয় আমরা কোনো কুটুম বাড়িতে এসেছি। তাইতো ছড়ায় ছড়ায় বলতে ইচ্ছে করে- ‘গাছের নিচেই সবুজ ঘাসের সারি/তার ভেতরে পিঁপড়েগুলোর বাড়ি/সেই বাড়িতে কুটুম গিয়ে ওঠে/আনল সাথে চিনির দানা ঠোঁটে/চিনির দানা সবাই মিলে খায়/আবার কুটুম নিজের বাড়ি যায়। ’

আমরা বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চেপে বাড়ি নিজ বাড়ি বা আত্মীয় বাড়ি যাই। এসব বাহনের মধ্যে রেলগাড়ি অন্যতম। রেলগাড়ি কীভাবে চলে একবার কল্পনা করে দেখো তো? রেল চলে, তারপর কী হয় ‘মাঠ ছাড়িয়ে/হাট ছাড়িয়ে/তাল পুকুরের/ঘাট ছাড়িয়ে/রেলগাড়িটা যাচ্ছিল/দারুণ মজা পাচ্ছিল/শহর এবং/গ্রাম ছাড়িয়ে/ইস্টিশনের/নাম ছাড়িয়ে/একটু হেলে একটু দুলে/পু-ঝিক-ঝিক বোলটা তুলে/রেলগাড়িটা যাচ্ছিল/দারুণ মজা পাচ্ছিল। ’
 
বন্ধুরা, রেলগাড়ি  চড়তে কিন্তু দারুণ মজা। মজা পাই খেলাধুলা, গল্প, কবিতা কিংবা ছড়ার বই পড়ে। ছড়ার বইয়ের কথা মনে হতেই আমার এ মুহূর্তে একটি বইয়ের নাম মনে পড়ছে। তোমরা এতক্ষণ ছড়ার টুকরা টুকরা যে অংশগুলো পড়লে তা এ বইটিতে আছে। বইটির নাম ‘এইটা ছড়ার বই’।

এই বইটি থেকে প্রতিটি ছড়ার সবটুকুই পড়ে নেয়া যাবে।   তোমাদের জন্য বইটি লিখেছেন লেখক বন্ধু আমির খসরু সেলিম। লেখক তোমাদের জন্য মজার মজার ১৫টি ছড়া দিয়ে বইটি সাজিয়েছেন। আর বইটির ৪ রঙা প্রচ্ছদ ও প্রতিটি ছড়ার সঙ্গে মিলতাল করে পাতায় পাতায় ছবি এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রানা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২ তে বইটি প্রকাশ হয়ে। সাহিত্য শিল্প, বাদুরতলা, বগুড়া থেকে প্রকাশিত এবং ঢাকার বাংলাবাজারের শুভ্র প্রকাশ পরিবেশিত বইটির মূল্য ৮০ টাকা।

সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি; আহ্‌সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।