ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

নতুন বই

লাল কেল্লা

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১২
লাল কেল্লা

‘টুটুল খাবার টেবিলে বসে দাদুকে জিজ্ঞেস করে, আসছে শুক্রবার কোথাও নিয়ে যাবে দাদু? দাদু বলে, এবার তোমাকে এমন একটা ঐতিহাসিক স্থানে নিয়ে যাবো, যা বেশি দূরে নয়। এই ঢাকাতেই সেই ঐতিহাসিক স্থানটি।

টুটুল জিজ্ঞেস করে, ঢাকার কোথায় দাদু? দাদু বলে, লালাবাগের কেল্লায়। টুটুল আবার জিজ্ঞেস করে, কেল্লা কি দাদু? দাদু বলে, কেল্লা হচ্ছে সামরিক দুর্গ। সৈন্যদের থাকার জন্য বিশেষ ধরনের দালান। দাদু আরো বলে, আমাদের দেশে এক সময় দিল্লির মোগল সম্রাটের সুবেদার, বাংলার শাসক শায়েস্তা খানের আমলে এদেশে পর্তুগিজ, আরাকান ও মগ জলদস্যুদের হাত থেকে শহরকে রক্ষা করার জন্য ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এই দুর্গ নির্মাণ করা হয়। এখান থেকে শাসনকার্যও পরিচালনা করা হতো।

এ দুর্গ শুধু ঢাকায় নয়। এ দুর্গ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জে ও শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বন্দরের সোনাকান্দা নামক স্থানে। বাংলাদেশের নদীর পাড়ে বন্দরের সোনাকান্দা নামক স্থানে। বাংলাদেশের নদীপথে বহিঃশত্রুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন শাসকরা বিভিন্ন সময়ে এ সমস্ত দুর্গ নির্মাণ করেন। তবে অন্যান্য দুর্গের মধ্যে ঢাকার লালবাগের কেল্লার একটা পার্থক্য আছে। এ দুর্গে একটি সুড়ঙ্গ পথ আছে। এ সুড়ঙ্গ পথে যদি কেউ কখনো প্রবেশ করে, সে আর কখনো ফিরে আসে না। এছাড়া এ দুর্গে দিল্লির পথ বলে একটি সিঁড়িও আছে। টুটুল জিজ্ঞেস করে, ঐ সিঁড়ি দিয়ে কি দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যেতো?’

ইচ্ছেঘুড়ির বন্ধুরা, টুটুলের মতো তোমাদের মনেও নিশ্চয় অনেক প্রশ্ন জাগছে। লালবাগের কেল্লা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করছে আরো অনেক কিছু। কিন্তু বন্ধুরা এজন্য তোমাদের একটি বই পড়তে হবে। বইটির নাম ‘লাল কেল্ল’। গল্পের ছলে তোমাদের জন্য লালবাগের কেল্লার ইতিহাস লিখেছেন লেখক বন্ধু মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু বিপুল রঞ্জন চক্রবর্তী। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার তেপখানা রোডের সিঁড়ি প্রকাশন। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২-এ প্রকাশিত ৪৮ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ৮০.০০ (আশি) টাকা।

সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।