ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শিশুদের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি

রেজিনা আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১২
শিশুদের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি

স্কুলের ছোট্ট লাইব্রেরিতে কখনো কী গিয়েছিলে তুমি? কি দেখেছ? সারি সারি সাজানো বই। স্কুলের লাইব্রেরিগুলো এখনো ঠিক এমনই রয়েছে।



তবে এধরণা বদলে দিতে তোমাদের জন্য তৈরি হচ্ছে ডিজিটাল লাইব্রেরি। কিভাবে এই লাইব্রেরি পরিচালিত হয় কিংবা কেমনই বা এই লাইব্রেরি তা কী তোমরা জানো? তোমাদের জন্য বলছি...

বর্তমান সময়ের অত্যন্ত পরিচিত একটি শব্দ হচ্ছে ‘ডিজিটাল’। কথায় কথায় আমরা বলে থাকি ডিজিটাল ক্যামেরা, ডিজিটাল ফোন, ডিজিটাল ফরমেটে চলচ্চিত্র, ডিজিটাল লাইব্রেরি ইত্যাদি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পরতে পরতে রয়েছে ডিজিটালের ছোঁয়া।

একটা সময় ছিল যখন মানুষ নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেছে। হাতের কাছে যা পেয়েছে তাতেই লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছে নিজের না বলা কথাগুলোকে। বর্তমানে তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পুনরুৎপাদনের জন্য মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি সিডি-রম, ওয়েবপেজ অথবা অন্য যে কোনো ডিজিটাইজড ফরমেট ব্যবহার করা হয়।

লাইব্রেরি বলতে আমরা সাধারণত বুঝি এমন একটি স্থান, যেখানে মুদ্রিত বই, সাময়িকী, বিভিন্ন প্রকার  অডিও-ভিজুয়াল সামগ্রীকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সংরক্ষণ করে পাঠকের ব্যবহার-উপযোগী করে রাখা হয়। অপরদিকে ডিজিটাল লাইব্রেরি বলতে বোঝায়, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে একত্রে সংগঠিত ইন্টারনেট ও সিডি-রম ডিস্কের সহায়তায় সহজলভ্য উপকরণসমূহের সমষ্টি। অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যের উৎসসমূহে প্রবেশ ডিজিটাল লাইব্রেরির মূল উপাদান।

ডিজিটাল লাইব্রেরিতে একজন ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে অতি সহজেই তার প্রয়োজনীয় জার্নাল, প্রবন্ধ, বই, পত্রিকা, ছবি বা ইমেজ, অডিও এবং ভিডিও ফাইল খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশক তাদের সম্প্রতিক  প্রকাশনাসমূহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে (ইলেকট্রনিক ফরমেটে) পাঠকদের পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।

যেমন- গুগল একাউন্ট হোল্ডাররা ই-মেইলের ফ্রন্ট পেজ থেকে গুগল লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে মিলিয়ন মিলিয়ন বইয়ের রাজ্যে হারিয়ে যেতে পারেন, যা কখনো একটি সাধারণ লাইব্রেরীতে সম্ভব নয়। একাউন্টধারী যে কেউ এ লাইব্রেরির সদস্য হতে পারে।

ডিজিটাল লাইব্রেরিতে তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং বিতরণ করা হয় ডিজিটাল ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, ইলেকট্রিক ফরমেটে। এখানে তথ্য বিতরণ বা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব উপাদান ব্যবহার হয় তা হলো টেলিফোন, টেলেক্স, ফ্যাক্স, ই-ফ্যাক্স, সিডি-রম, স্ক্যানার, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) এবং ইন্টারনেট।

ডিজিটাল লাইব্রেরি কোনো জায়গার অপচয় করে না। কারণ সবটাই থাকে অনলাইনে। অন্যদিকে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে দূরবর্তী ব্যবহারকারীদেরও সুযোগ দেয়।

বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি ভাবে ডিজিটাল লাইব্রেরির নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যার একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে তোমাদের স্কুলের পাঠ্যবইগুলো ই-সংস্করণ বা ইলেকট্রনিক্স সংস্করণ। যে কোন প্রয়োজনে যে কোন স্থান থেকে তোমার পাঠ্যবইটি এখন তুমি ওয়েবসাইট থেকে সহজেই ডাউনলোড করে পড়তে পাচ্ছো।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।