ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

প্রাসাদের নাম আহসান মঞ্জিল

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১২
প্রাসাদের নাম আহসান মঞ্জিল

রাজধানী ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক এক প্রাসাদের নাম আহসান মঞ্জিল। ১৮৭২ সালে দৃষ্টিনন্দন এই প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করেন নওয়াব স্যার আবদুল গণি।



তবে এর নামকরণ করা হয় তার ছেলে নওয়াব স্যার আহসানুল্লাহর নামানুসারে। নির্মাণের ১৬ বছর পর প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আহসান মঞ্জিল। পরবর্তীতে বেশ কয়েক আহসান মঞ্জিলের সংস্কার করা হয়।

প্রাসাদের ছাদের উপর রয়েছে সুন্দর একটি গম্বুজ। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম খিলান আছে যা সবচেয়ে সুন্দর।

আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ রয়েছে।

এই উপমহাদেশের ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী আহসান মঞ্জিল দেশ-বিদেশের বহু বিখ্যাত ব্যাক্তি আতিথ্য গ্রহণ করেছেন কিংবা রাজনৈতিক বৈঠক করেছেন।

১৯০৬ সালে এখানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লর্ড কার্জনসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এখানে আতিথ্য গ্রহণ করেন। এসব ঐতিহাসিক স্মৃতি ধারণ করে টিকে আছে আহসান মঞ্জিল।

সম্প্রতি প্রাসাদের রংমহলের ৩১টি কক্ষের মধ্যে ২৩টি কক্ষে প্রদর্শনী গ্যালারি নতুন করে সাজানো হয়েছে। তবে সাতটি কক্ষের সংস্কারকাজ কিছুটা বাকি। আপাতত ২০টি কক্ষের গ্যালারি খুলে দেওয়া হয়েছে।

এর নয়টি গ্যালারি ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান ফটোগ্রাফার ফ্রিৎজকপের তোলা আলোকচিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে সাজানো। এগুলো হলো: খাবারঘর, বিলিয়ার্ড কক্ষ, হিন্দুস্তানি কক্ষ, কাঠের সিঁড়িঘর, পাঠাগার, তাস খেলার ঘর, অতিথিদের শয়নঘর, বসার ঘর ও নাচঘর।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।