ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

ভাস্কর্য ‘অমর একুশে’

সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৩
ভাস্কর্য ‘অমর একুশে’

একুশকে আমরা ভুলতে পারি না; ভুলতে পারি না প্রাণের বাংলা ভাষা অর্জনের ইতিহাসকে। একুশ আমাদের অহংকার।

আমাদের চেতনা উদ্দীপ্তকারী প্রতীক । তাই একুশের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অন্ত নেই আমাদের চেষ্টার।

ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকেই লালন করে আসছে বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে।

এরই অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের মূলফটক (ডেইরি গেট) ধরে কিছুদূর এগুলেই ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঠিক বিপরীত পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাঙালির গর্ব মহান ভাষা আন্দোলনের স্মারক ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্যটি।

‘অমর একুশে’ আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা। আর এ ভাষা আমাদের প্রাপ্তি নয়, অর্জন। আর এ অর্জনের পথও খুব সরল নয়। বুকের রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে অর্জিত এ ভাষা।

‘অমর একুশে’ আমাদের ৫২’র সে উত্তাল দিনগুলোতে নিয়ে যায়; শাণিত করে আমাদের চেতনাকে। ‘অমর একুশে’ নামের মধ্যে বায়ান্নের সেই উত্তাল সময়কে যেমন ধরে রাখা হয়েছে, তেমনি একটি শাণিত চেতনাকেও করা হয়েছে শরীরী ।

‘অমর একুশে’ ভাস্কর্যটি বাঙালির দৃঢ় চেতনার ঈঙ্গিত বহন করে। মায়ের কোলে সন্তানের লাশ, পাশে স্লোগানরত যুবক। মায়ের ঊর্ধ্বমুখী দৃষ্টি আর যুবকের মুষ্ঠিবদ্ধ হাত আমাদের মনে করিয়ে দেয় বাঙালি হারতে জানে না, বাঙালি কখনও মাথানত করে না অন্যায়ের কাছে। ‘

১৯৯১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহমেদ ভাষা আন্দোলনের এ স্মারক ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন।

আর মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে কংক্রিটের গায়ে শরীরী রূপ দিয়েছেন শিল্পী জাহানারা পারভিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-ichchheghuri@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।