ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

সময় বাড়লো ইচ্ছেঘুড়ি-সিঁড়ি গল্পলেখা প্রতিযোগিতার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৩
সময় বাড়লো ইচ্ছেঘুড়ি-সিঁড়ি গল্পলেখা প্রতিযোগিতার

দেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজের শিশুতোষ পাতা ইচ্ছেঘুড়ি এবং মননশীল প্রকাশনা সংস্থা সিঁড়ির যৌথ আয়োজনে চলছে ‘বাংলানিউজ ইচ্ছেঘুড়ি-সিঁড়ি’ গল্পলেখা প্রতিযোগিতা-২০১৩।

এরই মধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর সাড়া পেয়েছি।

প্রতিযোগিতায় গল্প পাঠানোর শেষ সময় ছিল মার্চ মাসের ১৫ তারিখ। কিন্তু এর পরেও আমরা বেশ কিছু গল্প হাতে পেয়েছি।

শিশু-কিশোরদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে তাই গল্প পাঠানোর সময়সীমা আরো কিছুদিন বাড়ানো হলো। এখন গল্প পাঠানো যাবে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত।

প্রতিযোগিতার নিয়ম:
•    প্রতিযোগিতা হবে দু’টি গ্রুপে। ১ম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ এবং ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত  ‘খ’ গ্রুপ।
•    আমরা গল্পের শুরুটা লিখে দেবো, তোমাদের শেষ করতে হবে। গল্পের নাম তোমরাই দেবে।
•    ‘ক’ গ্রুপের জন্য সর্বোচ্চ শব্দ সংখ্যা ৫০০ এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য সর্বোচ্চ শব্দ সংখ্যা ৮০০।
•    লেখা পাঠানোর জন্য সময় দেড় মাস। অর্থাৎ, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর আমাদের হাতে গল্প এসে পৌঁছালে তা গ্রহণ করা হবে না।

প্রতিযোগীদের জন্য নির্দেশনা:
•    ঘোষণা থেকে ঠিক এক মাসের মধ্যে গল্পগুলি ই-মেইল অথবা হাতে লিখে পোস্ট করে আমাদের কাছে পাঠাতে হবে।
•    গল্পের সঙ্গে তোমরা যে স্কুলে পড়ো তার নাম, শ্রেণী ও বয়স উল্লেখ করতে হবে। সঙ্গে পাঠাতে হবে তোমাদের এক কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও  মোবাইল অথবা টেলিফোন নম্বর।
•    গল্পটি তোমরা নিজে লিখেছো কিনা সেটা বিচার করে দেখা হবে।
•    বিজয়ীদের সঙ্গে বাংলানিউজ থেকে সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
•    এছাড়া যে কোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ: মোবাইল নম্বর: ০১১৯০-১২৬-৭৮৩

‘ক’ গ্রুপের গল্প সূত্র:

সবুজ ধানক্ষেত। এর পাশে বাঁশঝাড়। সেই বাঁশঝাড়ে বাস করে একটি বক। বকটির গায়ের রং ধবধবে সাদা। এতোটাই সাদা যে, পুঁটি মাছের দেখে হিংসা হয়। পুঁটি ভাবে আমার গায়ের রংও তো সাদা। কিন্তু ঠিক বকের মতো নয়। এজন্য পুঁটি ভাবলো বকের সঙ্গে ভাব জমাবে। বকের কাছে থেকে জানবে কেমন করে সে এমন রং পেয়েছে। এই ভেবে পুঁটি একদিন ভয়ে ভয়ে ধানক্ষেতের ধারে এলো। ভাবলো আজ বকের সঙ্গে কথা বলবে। আবার এও ভাবে বকের কাছে গেলেই যদি গপ করে খেয়ে ফেলে? তাহলে এখন উপায়? ভাবতে থাকে পুঁটি........  


‘খ’ গ্রুপের গল্প সূত্র:

প্রতিদিন সন্ধ্যায় গাছটিতে অনেক পাখি আসে। গাছের ডালে বসে পাখিগুলোর সে কি কিচির মিচির! পাখিগুলোর গান যেন আর থামতেই চায় না। সন্ধ্যা গড়িয়ে একটু রাত হলেই তাদের গান থেমে যায়। ঘুমিয়ে পড়ে গাছের ডালে। পাতার ফাঁকে ফাঁকে। আবার কিচির মিচির শুরু হয় খুব ভোরে।

পাখির ডাকেই প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে শিমুলের। আজও ভেঙেছে। তবে পাখির ডাকে নয়। মানুষের কথা বলার শব্দে। এজন্য সে জানালা খুলে দেয়। দেখে বাইরে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার ভারে শিমুলের দৃষ্টি বেশিদূর যায় না। আটকে যায় উঠানের বড় আম গাছে। গাছটির নিচে অনেক মানুষ। মানুষগুলোকে সে ঠিক চিনতে পারে না। তবে এটা বুঝতে পারে, বাবা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু কি বলছেন সেটি বুঝতে পারে না। হঠাৎ তার মনে হলো, আজ পাখিদের কোনো সাড়াশব্দ নেই কেন? দিনজাগা পাখিগুলো কি স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে গেছে? মানুষের এতো কথার পরও তাদের ঘুম ভাঙছে না? নাকি পাখিগুলো মানুষের ভয়ে আগেই পাখা মেলেছে দূর আকাশে..........

লেখা পাঠানোর ঠিকানা:

ই-মেইল নম্বর: ichchheghuri@banglanews24.com

অথবা, পোস্ট করো

বিভাগীয় সম্পাদক
ইচ্ছেঘুড়ি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
মিডিয়া হাউজ, প্লট#৩৭১/এ (৩য় তলা)
 ব্লক#ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা
 বারিধারা, ঢাকা-১২২৯, বাংলাদেশ

প্রতিযোগিতার বিস্তারিত নিয়ম জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
গল্প লেখো, জিতে নাও পুরস্কার!

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।